একটি বাতাসের জন্ম হয়েছিল এক উপত্যকায়, কিন্তু তার শিকড় ছিলো না দিগন্তের মাটিতে।

একটি পাহাড়ের কোল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা একাকী বৃক্ষ, যে জানে না, তার ছায়া আদৌ কারও অভ্যর্থনা পেয়েছিল কি না।

সমুদ্রের অতল থেকে উঠে আসা এক কাতর সুর, যে হারিয়ে গেছে ঢেউয়ের বিপরীতে ভেসে থাকা নৈঃশব্দ্যে।

নদীর বুক চিরে বয়ে চলা জলের স্পর্শে লেগে থাকে সেই সব নাবিকের স্বপ্ন, যারা কখনো বন্দরে ফেরেনি।

ভেঙে পড়া ঢেউ জানত, সে কোনো তীরে পৌঁছাবে না, তবু প্রতিটি সঙ্গমে সে রেখে যায় নোনতা প্রতিশ্রুতি।

বালুকারাশির গভীরে চাপা পড়ে থাকা কিছু নামহীন শব্দ, যারা ভাষাহীনতার দেয়ালে লিখে গেছে নীরবতা।

সন্ধ্যার অন্ধকারে হারিয়ে যাওয়া কিছু আলোক রশ্মি, তারা জানে, রাতের গভীরতাই তাদের একমাত্র ভাষা।

একটি খণ্ডিত আয়নায় প্রতিফলিত হয় এক অপরিচিত মুখ, যে জানে না, সে ভবিষ্যতের কেউ, নাকি কেবল অতীতের প্রতিধ্বনি।

একটি পুরনো জানালার ফ্রেমে আটকে থাকা সূর্যের আলো, যে জানে, তার অস্তিত্বের সংজ্ঞা কেবল এক হারানো বিকেল।

শুকিয়ে যাওয়া এক জলপ্রবাহের তীরে দাঁড়িয়ে থাকা এক পথিক, যার গন্তব্য জানা নেই, তবু প্রতিটি পদক্ষেপেই জমে ওঠে ইতিহাস।

একটি মৌসুমের ভেতর বন্দি এক অসমাপ্ত বসন্ত, যার ফুলেরা ঝরে যায় জন্মের আগেই, বাতাসের অজুহাতে।

একটি প্রশ্ন, যা উত্তরহীনতার স্পর্শেই পায় তার পরিপূর্ণতা, তবু প্রতিটি শব্দের নিচে লুকিয়ে থাকে এক অনিঃশেষ ব্যাখ্যা।

সময়ের স্রোতে ভেসে যাওয়া প্রতিটি অস্তিত্ব জানে, গন্তব্য কখনোই শেষ নয়, কেবল আরেকটি প্রবাহের শুরু।