অদৃশ্য কণ্ঠস্বর ডেকে যায়, ভেতরে তোলপাড়
আমার বোধনে এতো রঙ মেখে কে তুমি অন্তর্মুখী ?
সত্তাজুড়ে তোমার প্রগাঢ় উপস্থিতি টের পাই-
আমিত্বের ভূমি চিরে উকি দেয় নতুন বীজের অঙ্কুরোদগম ।
বেসিনে আয়নার সামনে দাঁড়াই,শুনি স্ববিরোধী বয়ান
এযেন আমি নই, প্রতিফলিত হয় পত্র-পল্লব বেষ্ঠিত আদিম বৃক্ষ
আত্মজিজ্ঞাসায় দ্বিধাদ্বন্দ্বে বয়ে চলে সময়, আপন পৃথিবী বদলে যায়
মুখ ঢাকা পড়ে মুখোশে
নবরিপু শীতার্তমনে অতিথি পাখির মতো খোঁজে ওমময় পরম পরশ
ভেতরে জোয়ার ডাকে, ফলোভারে নুয়ে পড়ে আদিম বৃক্ষ।
জরায়ূ চিরে বেড়ে ওঠা আমি উপকূলে দাঁড়িয়ে শিকড় আলগা গাছ যেন
দেহের ভেতর বয়ে চলা প্রমত্তা নদী ভাঙে চিরায়ত বাঁধ
কচুরিপানার মতো ভেসে চলি, কোথায় আপন বাড়ি
বাহিরে পুরুষ আমার ভেতরে নারী ।।