পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী জেনো মোদের কলকাতা,
    বৃহৎ  বিদ্রোহের শহর মেনো মোদের কলকাতা।
সাংস্কৃতির ধারক বাহক মোদের শহর কলকাতা ,
  বৃহৎ অর্থনীতির শহর জেনো মোদের তিলোত্তমা।
পাবে হেতায় নবীন চন্দ্র দাসের বাহারি রসগোল্লা ,
         জনপ্রিয় মিষ্টি দই ও বাহারি সন্দেশ রস বড়া।
ভারতে প্রথম মেট্রো চলে উনিশশো চুরাশিতে,
জানো কি রহস্যময় মেট্রো স্টেশন কোথায় ?
জেনে রাখো  সেই স্টেশন রবীন্দ্রোসরবর যেথায় ।
প্রাণের পিছে প্রাণ যায় রহস্যময় স্টেশনে ,
অবাক হবে জানলে সেই স্টেশন রবীন্দ্রোসরবরে ।
      হাটবে যখন ফুটপাতে দেখো দুধারে তাকিয়ে,
বৈচিত্র্যময় খাবার পাবে রাস্তার দুই ধার ।
        প্রাচীন ও বৃহত্তম  রেল স্টেশন কোথায় ?
জেনে নাও, হুগলি নদীর পরে হাওড়া ব্রিজ যেথায়।
    জানো কি ? নদীর নীচে মেট্রো প্রথম শহর ভারতে ,
জেনে নাও হাওড়া থেকে হুগলি নদীর ত্রিশ মিটার নীচে ।
  জানো কি ভারতের প্রাচীনতম বন্দর আছে কোথায় ?  
সে বন্দর বানিয়েছিলো ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ,
           পাট রপ্তানির জন্য, খিদিরপুর যেথায়।
প্রতীক্ষিত চটুল উৎসব দূর্গা দুর্গাপূজা,
        নেচে ওঠে শহর নর নারী মানবশিশুর মজায়।
আনন্দ উল্লাসের প্রিয় বিশ্ববাসীর কাছে ,
       সিটি অফ জয় নাম জনপ্রিয় হয়ে আছে।
সব থেকে বেশি মিছিল হয় এই শহরে জেনো ,
মিছিলের শহর নামে অন্য রাজ্য জানে এই কথাটি মেনো।
কোথায় হয় ?বৃহতম বই মেলা ফ্রাঙ্কফ্রুট ও লন্ডন চেয়ে ,
এই শহরেই সেই  মেলা সেজে ওঠে মানুষ বই এর ভিড়ে।
বৃহত্তম পাঠাগারটি অবস্থিত কলকাতায় ,
           ন্যাশনাল লাইব্রেরি জানা আছে বোধহয় ?
গল্ফ ক্লাব আছে হেতায় ব্রিটেন এর বাইরে ,
     রয়েল কলকাতা গল্ফ ক্লাব পুরানো সবথেকে।  
দুই হাজার এক -এ ক্যালকাটা হলো কলকাতা ,
       নামকরণের অর্থ ইংরেজি থেকে বাংলা ভাষা।
খেলায় প্রিয় বাঙালির পুরাতন ফুটবল ক্লাব ,
       ক্রিকেটে মন বেশি তবু ফুটবলে ভালোবাসা।
এক লক্ষ্য কুড়ি হাজার আসন যে ফুটবল ময়দানে ,
বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন নাম, আছে এই শহরে।
তৃতীয় বৃহত্তম ক্রিকেট মাঠ হলো ইডেন গার্ডেন ,
       টিকেট পাওয়া যায় নাকো যখন লড়াই বিশ্বকাপে।
বিশ্বের খ্যাত কবিদের যে এখানেই জন্মস্থান ,
      বই পাগলের কেন্দ্র যেন বিশ্বের দ্বিতীয় প্রাণ।
দ্বিতীয় বই বাজার এখানেই নাম কলেজস্ট্রীট
        পাওয়া যায় না এমন বই, যে বই অস্তিত্বহীন।
ভারতের প্রাচীন পশুশালয় জানো  কি কোথায় ?
ঘুরতে মজা শীতের কালে শিশু বৃদ্ধ, আলিপুর যেথায়।
অদৈত্ত নামক কচ্ছপ ছিল বয়েস দুইশ পঞ্চাশ,
আঠেরোশো পঁচাত্তরের উপহার হয়ে আসে সে হেতায়।
দুহাজার ছয় এ মির্তু হয় উপহার ব্রিটিশ নাবিকের ,
   রবার্ট ক্লাইভ  হারিয়েছে উপহার  ফিরিবেনা আর।
চব্বিশে ফেব্রুয়ারি আঠেরোশো তিয়াত্তর সে বছর ,
আর্মেনিয়াম ঘাটের মাঝে দুই ,চার কিলোমিটার,
   চালু হলো প্রথম ট্রাম, হয়েই বন্ধ হলো সেই বছর।
কুড়ি নভেম্বর বন্ধ হয় পরিচালনার অভাবে ,
    স্টিম ইঞ্জিন চালু হলো আঠেরোশো বিরাশিতে।
উনিশশো পাঁচ সালে চালু আবার নতুন ট্রাম রাস্তা ,
জেনে নাও, হাওড়া হতে বাঁধাঘাট  ছিল সেই ট্রাম রাস্তা।
সমাপ্ত হলো বৈদুত্যিককরণ ট্রাম সেই বছরের মাঝে ,
   এই শহরে আজ চলে প্রাচীনতম  ট্রাম ইতিহাসে।
ঐতিহ্যময় ক্লান্তিকর হাতে টানা রিক্স আজো মেলে ,
আজো  মেলে এই ঐতিহ্য ট্রাম মেট্রো  ট্যাক্সি মাঝে।
তারকাদের এই শহরে আকাশের তারাও মেলে ,
   যদি যেতে পারো সময় মতো ট্যাক্সি ধরে তারা ঘরে।
বিড়লা প্লানেটোরিয়াম নাম তার এশিয়ার বৃহত্তম ,
      গুনতে পারো আকাশের তারা সুন্দর আলোকযন্ত্র।
তিনশো মিটার অঞ্চলে আছে মস্ত এক গার্ডেন ,
মস্ত বট, আছে হেতায়  নাম বোটানিক্যাল গার্ডেন।  
উনিশশো ঊনত্রিশ সালে আসেন মাতা এই শহরে ,
     জেনে নাও নোবেল জয়ী মাদার তেরেসা নামে।
বর্তমানে সেন্ট উপাধি পেয়েছেন মাতা জেনো ,
মানবতার স্পর্শ দিয়ে তার দ্বিতীয় হোম টাউন মেনো।
দুহাজার এর অধিক হক্কা বংশোদ্ভূত চীন নাগরিক,
বাংলায় রন্ধন প্রণালীকে জন্ম দিলো হলো খাবার চাইনিস।
বিলাসবহুল ও স্বল্প মূল্যের হটেল আছে অনেক ,
    সবাই সুখী খাবার খেয়ে, সবার উপযোগী পকেট।
সবার উপযোগী সবার প্রিয় তাই এই শহর ,
সবার মাঝেই আছে এতো তাই বিলাসিতার বহর।
ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের লন্ডন এর পর গুরুত্বপূর্ণ ছিল এ শহর
উনিশশো এগারো অবধি ভারত রাজধানী তাই গর্বের এতো বহর।