শোন দু হাজার এগারো সালের
২৮-এ ডিসেম্বর,
অতি উজ্জল রোদ্র মধুর
কুসুমিত মনোহর|
কুয়াশায় মোড়া দিনগুলো শেষে
পৌষের এই দিন,
সূর্য আঘাতে প্রদীপ্ত রাগে
নাচিল তাধিন্ ধিন্|
রৌদ্র ছোয়ায় সবুজ পাতার
কাটিল শীর্ণ কাল্,
সবুজে সবুজে শোভিলো আবার
জীর্ণ ধরার ভাল্|
এত সুন্দর এত মনোহর
কেন জান এই দিন?
শুনিল যে মোর হৃদয় মানবী
তার সাফল্য বীণ|
সে বীণ রাগিনী বড়ই মধুর
অতি গরবের জানি,
তাই আজি মন ভরিল খুশিতে
বেদনার শেষ টানি|
প্রকাশিল তার পরীক্ষা-ফল
এ দিন বিকেলে আসি,
সবার উপরে থাকিল মানবী
সকল ভাবনা নাশি|
মানিল সবাই হার,
হেন মুহুর্ত সে ছাড়া অন্য
আসিবে ভাগ্যে কার?|
তারি তরে সাজে হেন সফলতা
অন্য কাহারো নয়,
সব বিফলতা তারি কাছে তাই
মেনে নিল পরাজয়|
আনন্দ জল করি টলমল
ছাড়িল আপন ধারা,
শুনি সে খবর হৃদয় খুশিতে
হইলো আত্মহারা|
সাজিল সন্ধ্যা লাখো হর্ষের
বিচিত্র আলো নিয়ে,
সকল সুখের মিষ্টি পরশ
মনে দিয়ে গেল ছুঁয়ে|
কি নেই তাহার কি বলিব আর?
খুজে নাহি পাই ভাষা,
সকল ভালো ও গুনের সেতারে
আকাশ তাহার ঠাসা|
শুধু সুন্দর নয়সে মানবী
অতি সুন্দর জানি,
স্বর্গ পরীর রূপ যেন তার
মাঝে দেয় হাতছানি|
তার দুটি চোখ আছে বা বলেই
এত সুন্দর পৃথ্বী,
তার কেশেরেই দোলাতে বোধহয়
জন্ম নিয়েছে বিথী|
সে আছে হয়তো আছে তাই ভবে বেঁচে আজও ভালবাসা,
তার অলোকের সুঘ্রানে ধরার
মিটে যেন প্রত্যাশা|
পৃথিবী আঁধার হয়যে তখন
যখন তাহার চুলে,
ঢাকে চাঁদ মুখ।সূর্য যেন বা
হারায় মেঘের কূলে|
দেখিলে তাহারে মনে হয় যেন
দেখি যুগ যুগ ধরে,
অমন মুখের পানে চেয়ে যেন
মৃত্যুও সুখ ঘরে|
তাহার চলার ছন্দে মোহিত
এই পৃথিবীর সব,
হাসিতে তাহার জেগে উঠে ভবে
পাখিদের কলরব|
সে হাসিলে হাসে ফুল,পাখি,চাঁদ
যবে গেয়ে উঠে গান,
তাহার সুরেলা সে গানে বেসুরো
পৃথিবীর ভরে প্রাণ|
জ্বলে পুড়ে মরে গানের পাখিরা
হিংসা করিয়া খুব,
নিজেদের ভুল বুঝে নিজেরাই
ফের থাকে নিশ্চুপ|
ধরার সকল উপমাই তার
কাছে গিয়ে মানে হার,
দেখিয়া তাহারে পূর্ণিমা যেন
মুখ করে নেয় ভার|
বুদ্ধিমতী ও ভাগ্যবতী সে
সুহাসিনী অপ্সরী,
ধরণীর বুকে যেন সেযে ঐ
রূপ স্বর্গের পরী|
নামটা তাহার দিলাম লক্ষী
মনের গহীন থেকে,
শত আদর আর প্রণয়ের রং-এ
সারাটা শরীর মেখে|
সব লক্ষীর লক্ষী মত্তা
দেহ মাঝে আছে তার,
তাইতো তাহার সে নাম
হৃদয়ে বেজে যায়
অনিবার|
এমন মানবী ভালবাসে মোরে
ভাবিলে অবাক হই!
মনে হয় যেন দেখছি স্বপ্ন
আসলে তা সত্যই|
ধন্য ধন্য এ জীবন মম
শুধুযে তাহার তরে,
কজনার থাকে এমন ভাগ্য
এই পৃথিবীর পরে|
দেহ,মন,প্রাণ পঞ্চান্দ্রীয়
জপে শুধু তার নাম,
তারি প্রেমে আজ পুর্ণ রাত্রি,
দিবসের প্রতি যাম|
আমার সকলি দিয়েছি তাহারে
সে ছাড়া কিছুই নাই,
তারে বিনা এই ধরণীর বুকে
বাঁচিবার নাহি চাই|
আমার সকল স্বপ্ন আশার
সে যে হলো মূলধন,
তার তরে তাই চেয়ে রবে পথ
এ পাগল আজীবন|
২৮-এ ডিসেম্বর,
শব্দের ধারে ভরালোযে এই
কবিতার অন্তর|
বলে যাই অবশেষে,
সদায় এমন সফলতা দিক
ধরা তার কাছে এসে|