রুক্ষ ধরায় ফের,
জাগিয়া উঠিবে নব আনন্দ
উল্লাসে মাতি ঢের|
মায়াবী জোত্‍স্না যদি না নিভেগো
অশুভ সে রাহুগ্রাসে,
অসুন্দরের ভয়াল সাগরে
সুন্দর যদি ভাসে|
নর পিশাচের ভীম হুংকারে
যদি না সে পায় ভয়,
ভবে যদি হয় রক্ত মাতাল
ডাকিনীর পরাজয়|
মানব রক্ত শুষিতে যাদের
চিত্তে ভীষন জেদ,
কে যে দুর্বল আর কে সবল
করেনা ইহার ভেদ|
তৃপ্তিতে তোলে শোণিত ঢেকুর
যাহারা রাত্রিদিন,
অবনীপৃষ্টে এদের শক্তি
হয়ে যায় যদি লীন|
অসুর শক্তি যদি নাশ হয়
সুরের প্রবল ঘাতে,
অশুভ শক্তি নাশিতে যদিবা
অস্ত্র উঠাই হাতে|
নৃশংসতার ঘনায়ে রাত্রি
আনি নির্মল ভোর,
সুদিন ঝড়েতে ভাঙ্গিগো ভবের
এই দুর্দিন ঘোর|
বিপর্যয়ের সৃষ্টিতে যারা
রয় সদা উদগ্রীব,
হয় সচেতন যদি সবা-কর
ছিড়িতে তাদের জ্বীব|
রক্ত-পাগল রক্ত-মাতাল
রক্ত যাদের প্রাণ,
লভিতে রক্ত কারো জীবনের
দেয়না কোনই মান|
সবাই জাগিয়া যদি,
ভেঙ্গে করি খান মায়াবী তখ্ত
ইহাদের নিরবধি|
যেথা বসি তারা প্রলয়ের গান
লিখে যায় রাতদিন,
নিজেরে বাঁচাতে অন্যেরে মারি
রাখেনা কোনই চিন্|
লোলুপ দৃষ্টি হানিয়া ইহারা
ডেকে আনে মিসমার,
ন্যায়টাকে ঢাকে অন্যায় দিয়ে
সুবিচারে অবিচার|
প্রতিশ্রুতির মায়াবী পর্ণে
সাজায়ে বৃক্ষ খানি,
আপন হাতেই ভাঙ্গে তা আবার
প্রবল ঝটিকা হানি|
সরল পথিকে বাধিয়া মায়ায়
ভুলায়ে তাহার মন,
প্রবল ছলনে রক্ত তাদের
শুষে যায় প্রতিক্ষণ|
মনকে করিয়া ইচ্ছা বিহগ
যাহা খুশি করে তাই,
সুজনে মন্দ করি,মিথ্যায়
সত্যকে করে ছাই|
সাধিতে এদের লয়,
এসো সবে আজ হই আগুয়ান
ভুলিয়া মৃত্যু-ভয়|
করিলে এদের শেষ,
রুক্ষ ধরায় হবে যে আবার
শান্তির উন্মেষ|