শুনেছেন তিনি শহরেতে নাকি
আছেন অনেক জ্ঞানী,
নানান বিষয়ে তর্ক করেন
জ্ঞানের আঁচড় টানি|
রাজাও শোনেন তাহাদের কথা
মেটান সকল চাওয়া,
ইচ্ছে যে তার হারিয়ে তাদের
জ্ঞানীর তকমা পাওয়া|
এত বড় জ্ঞানী হয়েও কি তিনি
গ্রামে থাকিবেন পড়ে?,
জানবেনা কেউ নামটি তাহার
সয়না এ অন্তরে|
ঠিক করলেন শহরে যাবেন
বসে থাকা নয় আর,
একদিন সেই কথা জানালেন
বউ ও মেয়েকে তার|
শুনে সব কথা স্ত্রী কন্যা
শুধাইলো দুয়ে তারে,
যেয়নাগো তুমি আমাদের ছেড়ে
শত ক্রোশ পথপারে|
পন্ডিত হয়ে কাজ নেই আর
তার চেয়ে বসি ঘরে,
বাকিটা জীবন কাটাবে প্রভুর
পুত নাম জপ করে|
কিন্তু কে শোনে কার কথা তার
কাটিলনা সেই জেদ,
শত বুঝিয়েও সেই চিন্তার
হলোনাকো উচ্ছেদ|
এমন দেখিয়া বউ মেয়ে তার
অবশেষে হলো রাজী,
তিনিযে সবার বড় পন্ডিত
করতে প্রমান আজি|
মাথায় টুপি ও হাতে লাঠি আর
বড় ঝুলি নিয়ে কাঁধে,
রওনা দিলেন শহরের পথে
আনন্দ আহ্লাদে|
মনে মনে ক'ন সেথা গেলেইতো
দেশময় তার নাম,
ছড়িয়ে পড়বে জ্ঞানী বলে তারে
জানবে এ ধরাধাম|
হেন ভাবনায় মগ্ন হইয়া
চলিলেন পথ হেটে,
দু চোখে সবার সেরা পন্ডিত
হবার স্বপ্ন এঁটে|
মাথার উপরে প্রখর সূর্য
আগুনের মত জ্বলে,
হাঁসফাঁস করে পন্ডিত তবু
কোনমতে পথ চলে|
চলিতে চলিতে একটি নদীর
কিনারে গেলেন তিনি,
তৃষা যেন তার বাড়িল দ্বিগুন
দেখিয়া স্বচ্ছ পানি|
মাথার টুপিটা ছোট্ট একটি
গাছের উপরে রেখে,
হাটুজল সম জলে নামিলেন
পিপাসার ঘাতে বেঁকে|
...............................(চলবে)