পানি খেতেও যে হাজারো প্রশ্ন
উঁকি দেয় তার মনে,
অনেক কথায় ভাবেন বুড়োটা
দাঁড়িয়ে নদীর সনে|


কোথা হতে এলো এত জল আর
কেবা দিলো তারে ঢেলে?,
পিপাসাটা কেন মিটে যায় ফের
গলা দিয়ে নেমে গেলে|


হঠাত্‍ তাহার মনে হলো কেন
অযথা করছি ক্ষয়?,
সময় এতোটা এতো নয় জ্ঞানী
মানুষের পরিচয়|


শত ভাবনার বেড়াজালে বুড়ো
পিপাসাও ভুলে গিয়ে,
মিটি মিটি হেসে তীরে এগুলেন
লাঠিখানা হাতে নিয়ে|


পানি না খেয়েই জলদি আবারো
হাঁটা করিলেন শুরু,
কোথা রাজধানী কতদুর আর?
বুক কাঁপে দুরুদুরু|


একটু গিয়েই চোখ পড়ে তার
ছোট্ট গাছের পরে,
দেখেন একটা টুপি বুঝি কেউ
ফেলে গেছে ভুল করে?|


সেই টুপি দেখে বুড়োটার মুখে
থামেনাতো আর হাসি,
ভাবেন আহা! রে কোন ভুলোমনা
রেখেছে হেথায় আসি|


এত বোকা হা হা হেথাকার লোক?
ভাবিনিতো কভু ওরে,
হাসিতে হাসিতে চলিলেন বুড়ো
আঁকাবাঁকা পথ ধরে|


সময়ের রথে দিনের সূর্য
নামে রাত্রীর কোলে,
চলার ক্লান্তি আর অবসাদে
পন্ডিত বুড়ো ঢোলে|


হাত পাও তার চলিতে চাহেনা
অবশ হয়েছে বুঝি,
বসে পড়লেন রাস্তার ধারে
ভাল এক স্থান খুঁজি|
এখন যে তার বিশ্রাম আর
ঘুমানোর প্রয়োজন,
ভেবে চিন্তে এক গাছের তলায়
করেন তিনি শয়ন|
রাত পোহালেই যেতে হবে ফের
তাকেতো শহর দিকে,
কেমনে চিনিবে ওপথ আবার
ঘুম থেকে উঠি জেগে?|
বিদেশ বিভূয়ে পথ ভুল হলে
রক্ষে যে নেই আর,
পথের নিশানা এখনিই ঠিক
করে রাখা দরকার|
ভারি ভাবনায় পড়লেন তিনি
একটুও নেই আলো,
সহসা বুড়োর মাথায় একটা
বুদ্ধি উদয় হলো|
_________________(চলবে)