লাঠির মাথাটা রাস্তার মাঝে
শহরের দিকে তাক্,
করে রাখলেই চিন্তাতো শেষ
এখন ঘুমানো যাক|
ঘুম থেকে উঠে লাঠির মাথার
বরাবর পথ ধরে,
গেলেইতো ঠিক পৌছে যাবেন
সেই শহরের পরে|
যেমন চিন্তা তেমনই কাজ
রাস্তায় রেখে লাঠি,
ঘুমিয়ে গেলেন পন্ডিত বুড়ো
ঘাসের শীতল পাটি|
সুখের স্বপন দেখিতে দেখিতে
রাত্রি চলিল প্রাতে,
গভীর ঘুমেতে মগ্ন বুড়োটা
কাঁথা দিয়ে ঐ গা'তে|
ধীরে ধীরে ঐ পূর্ব আকাশ
উঠিল ফর্সা হয়ে,
পাখিদের মধু কলরব গেল
প্রভাতের কথা কয়ে|
তবুও বুড়োর ভাঙ্গেনিতো ঘুম
এখনো ঘুমিয়ে তাই,
একটু পরেই সূর্য উঠিবে
আর বেশি দেরি নাই|
হেন কালে এক পথিক আসিয়া
ঐ পথ দিয়ে যেতে,
দেখেন একটা লাঠি পড়ে আছে
ঠিক মাঝ রাস্তাতে|
বড় কৌতুহল জাগলো তাহার
জানতে এ লাঠি কার?
সাথে নিয়ে যাই দিয়ে দিব কভু
দেখা যদি পাই তার|
হঠাত্‍ দেখিতে পাইলেন তিনি
এদিক ওদিক চাহি,
ঘুমিয়ে আছেন বুড়ো একজন
পাশে আর কেউ নাহি|
ভাবিলেন তিনি যেহেতু এখানে
আর নেই কোন জন,
সেহেতু এ লাঠি হয়তো বুড়োর
রেখে দেই যথাসন|
রাখিয়া সে লাঠি চলিলেন তিনি
আপনার পথ ধরে,
কিন্তু সে লাঠি রাখিলেন তিনি
ভুলিয়া উল্টো করে|
পথিক যাওয়ার একটু পরেই
সূর্যের আলো লেগে,
ঘুম থেকে বুড়ো পন্ডিত ঐ
তড়িত্ উঠেন জেগে|
তাকিয়ে দেখেন লাঠিখানা তার
একদমই ঠিক আছে,
কাঁথা ভাজ করে চলিলেন তাই
অদুরে নদীর কাছে|
আর বাকি পথ একটি দিনের
তারপরে রাজধানী,
কি যে আনন্দ তিনিতো হবেন
এদেশের সেরা ঞ্জানী|
হাত মুখ ধুয়ে গুড় চিড়া দিয়ে
নাস্তা নিলেন সেরে,
যাত্রার লয়ে তৈরী হলেন
সকল ক্লান্তি ঝেড়ে|
কাঁধেতে তুলিয়া ঝোলাখানি তার
হাতে ধরে ঐ লাঠি,
লাঠির মাথার উল্টো সে পথে
চলিলেন পথ হাঁটি|
__________________(চলবে)