আমার ১০০তম কবিতায় স্বাগতম সবাইকে।
================
প্রাচুর্য-মেঘ অধরা আমার
মাথা লুকাবার ঠাই,
চারখুঁটি ঘর ছন লেপা ছাদ
অবসরে এসে পাই|
জমির আতরে সৌরভ মাখি
কী ভীষণ সোঁদা ঘ্রাণ!
কষ্টের শ্বাস তারি কাছ থেকে
সুখ নিয়ে আসে ত্রাণ|
বিলাসী শব্দ অভিধানহারা
আমার ঘরেতে এসে,
অধুনার স্রোতে আধুনিক হয়ে
পারিনা তো যেতে ভেসে|
প্রভাত ফেরীতে শহীদ মিনারে
উদাম পায়ের ছাপ,
হাতে ফুলতোড়া পতাকার রঙে
ভেজা পুরো দেহ-খাপ |
শহীদ স্মরণে ঢাক ঢোল পিটে
নাচে গানে তোলা শোর,
আকাশ পাতাল কাঁপা সঙ্গীতে
বাড়ানো গলার জোর?
পোশাকি প্রেমের ঝাঁপি খুলে বসা
বিচত্রতর সাজ,
গায়ে জড়ালেই যায় কীরে পাওয়া
দেশ প্রেমিকের তাজ?|
শহীদ স্মরণে আমি যে কাদা'য়
আলের উপরে বসে,
বিগলিত প্রাণে খোদার সমীপে
ফোঁটা জল দেই খসে|
আমারতো নেই সামর্থ্য ফুলে
ভেজাতে মিনার ঐ,
বুকভরা প্রেম আছে শুধু তবে
আমি কী বাঙালী নই?
পহেলা বোশেখে তোমরা যারা হে
বাঙালী সাজতে চাও,
রমনীর হাতে বিনিময় গুঁজে
ইলিশ পান্তা খাও|
পথে পথে তুলে কালো চেতনার
সমুদ্র উচ্ছাস,
ক্রয়কৃত প্রেমে ছড়াতে কী চাও
খাঁটি বাঙালীর বাস?|
একদিন খেলে ইলিশে পান্তা
বাঙালী কী হওয়া যায়?
তবেতো আমার সারা পাড়া খুঁজে
একটিও পাওয়া দায়|
গোটা দুই পে'জ মরিচ ব্যতীত
যাদের অভাগা থালা,
ব্যয়সাপেক্ষ সুস্বাদু খাবারে
ভরায় না নিজ ডালা|
আকাশ উচ্চ সুরমার দেহ
পায়নাতো তার স্বাদ,
ঐ টাকা হলে সপ্তাহ পুরে
ক্ষুধা করে বরবাদ|
তোমাদের মত ওদের তো নেই
প্রেম প্রাচুর্যময়,
ওদের মতন কৃষক তবে কী
সত্যি বাঙালী নয়?|