সেদিন হঠাত্‍ সর্পিল দিন
পেরিয়ে দেখেছি রাতে,
আমার পৃথিবী বেহুঁশ বন্দি
আগুনের উত্‍পাতে|


সমস্ত দেহে উঠেছিল তার
বিবসনা খর রোদ,
তীব্র কাঁপুনী নেমেছিল যেন
ক্ষুদ্ধ হাবিয়া খোদ|


পুড়ছিল ঐ দুটি সমুদ্র
ছলছল গাঢ় লাল,
অবাধ্য সেই মেঘ-চুম-শিখা
ছিল বড় বেসামাল|


মুখের ভিতরে নিমের রক্ত
ভর করেছিল এসে,
ভারবাহী ট্রাক চেপেছিল তার
চুলের শিকড় ঘেঁষে|


পেলব শরীরে দুই তিন চার
টেনেও শীতের-যম,
বরফ গভীর অনুভূতি টাকে
করাতে পারিনি কম|


বরং সে বলে হবেনা
আমার
উপরে পাহাড় রাখো,
ধরে ধরে প্রিয় যত্নের চোখে
সারাটা শরীরে মাখো|


সাত সমুদ্র চুলেতে ঢেলেও
মেশাতে পারিনি তাকে,
ক্রমেই সে যেন খাটো করছিল
দুরের আকাশটাকে|


প্রকৃতির ঐ খোলস বদলে
এসেছিল না কী সেই?,
তাকে কেন তবে ধরতে গেল সে
আমি কী এখানে নেই?|


অবশেষে পাঁচ সূর্য কে খেয়ে
থেমেছিল তার রোখ,
আমার পৃথিবী হেসেছিল ফের
পেয়ে মুক্তির চোখ|