বিরহী এ রাত পাথরে টানানো সজনী,
পথের অন্ত ক্রমশ অচিন অধরায়,
যেন সমুদ্র-গভীর গর্ভ-রজনী,
জমাট গেরিলা মাঝপথে রত মহড়ায়|


পেণ্ডুলামের চরণে জড়ানো হেমলক,
চোখের পুকুর চৈতীর পায়ে কঙ্কাল,
অদেখার বুক-সিঁদুরের জলে ভেজা ত্বক,
প্রচণ্ডতায় দেহ-ঘাসে তার ক্ষত লাল|


উল্কা গতিও শামুক-বৃদ্ধ ধীরপদ,
দৃষ্টি সীমায় আশাহত মেঘ ঘন ঘোর,
আমি যেন কোন অচল কবির প্রচ্ছদ,
বিমুখ কেবলি আজাদী-শিশির সোনা-ভোর|


নাছোড় অতীতে পথে তোলা উঁচু ব্যারিকেড,
শত আকুতিও বেকারের মুখ এঁকে যায়,
ক্রমেই কণ্ঠ ছুঁয়ে ফেলে করাতের ব্লেড,
মাটিচাপা খায় পার্থিব-ঘড়ি পুরো প্রায়|


জানি এই রাত পোহাবার যত কৌশল,
তোমার ড্রয়ারে অনাদরে আছে বন্দি,
একবার যদি খুলে দাও প্রিয় অর্গল,
মিটে যাবে তবে এ কালোর চির ফন্দি|
_______________________