আমি ভালোবাসতে জানি না
তবু হইনি কভু তোমার অবহেলা-অযত্নের ভেলা,
কভু ভুলিনি তোমার পদ্মকলির মত চোখের চাহনি,
শুধু তাকিয়ে ছিলাম তোমার পথের দিগন্তের সীমানায়।
কতদূর যাবে তুমি ?
গ্রহ-নক্ষত্র ভেদ  করে অন্য জগতের মায়ায় ?
তুমি রবে সদা  মম অপলোক দৃষ্টির ছায়ায়।


তুমি ভেবেছো কি সরে যাওয়া, দূরে থাকা মানেই বিচ্ছেদ ?
কখনো দেখোনি কভু নদীর গড়িয়ে পড়া ঢেউয়ের পর ঢেউ ,
চারাগাছে  পাশাপাশি বিপরীতে থাকা দুটি পাতার বন্ধন,
আকাশে চন্দ্র ও সূর্য গ্রহণ, একরেখায় পরস্পরের মিলন?
দিন-রাত মানেই তো নয় সদা সময়ের সন্ধিক্ষণ।
ভেবেছো কি সূর্যাস্ত মানেই নিঃশ্ছেদ জীবনের ব্যবচ্ছেদ,
চন্দ্রের ডুবে যাওয়াই মোদের প্রণয়ের শেষ অনুচ্ছেদ ?
শত কোটি তারা আজো আলো দেয় আমাদের পৃথিবীতে।


ভেবেছো কি মুছে যাবে সব, ভুলে যাবে আপন অর্ধাবয়ব ?
পাখিরা কি কভু উড়তে পারে এক ডানা ব্যতিরেকে?
মাছেরা কি খেলতে জানে আপন ফুলকা আটকে রেখে ?
চোখ বুজলেই অন্ধকার নয় দেখি আলোর নবায়ন,
চাঁদের জোৎস্নার ন্যায় তব অপরূপ আননের বিচ্ছুরণ।
তুমি কি জানো শেষ ধ্বনির অভ্রভেদী শত শত প্রতিধ্বনি?
শেষ মানেই তো ধ্বংস নয়, নবসূচনাও হয়।
ভালোবাসতে নাইবা জানো  যদি
কভু ভালোবাসতে শেখো না, প্রিয়।