ক্ষুধাতুর জীবনে এক মুঠো ভাত চাই আমার
খোদা তোমার দরবারে!
পেটের নাড়িভুঁড়ি ক্ষুধায় দেখো হয়েছে মরুভূমি।


আমি সুখ চাই না..আনন্দ চাই না..অট্টালিকা চাই না
শুধু সকালে আর রাএি দু'বেলা
দু'মুঠো ভাত চাই আমার।


আমি চাই না এই উষ্ণ শীত নিবারণের জন্য
গরম কোন পোষাক;
প্রেমিকার হাতের তাজা গোলাপ।
আমি চাই না কোন;
আদর-সোহাগ-ভালোবাসা-স্নেহ-মায়া-মমতা!
আমি চাই শুধু দু'বেলার আঁহার।


আমি চাই না শুনিতে কবিদের বিদ্রোহী কবিতা
তারা জানে শুধু রচিতে বিদ্রোহী মানবতা;
আজ বিপন্ন ধব্বংশ মানবতা,
অলিতে গলিতে মিছিল করছে উইপোকা!


আমি চাই না শুনিতে প্রধানমন্ত্রীর ভাষন,
তিনার মুখে তেই শুধু ভোজন!
রেখেছেন কিছু চাটুকার,
তারা গোগ্রাসে গিলে খাচ্ছে আমার অধিকার।


আমি আজ চোখে মুখে দেখি ঝাপসা
কানে বাজে ক্ষুধাতুর জ্বিবের প্রলাপ সংলাপ;
রাস্তায় শুয়ে বসে থাকা জরাজীর্ণ মানবের আর্তনাদ।


আমার শুধু দু'বেলা দু মুঠো ভাত চাই খোদা
না না দরকার নেই আমার,
মরনে সারে তিন হাত জমি;
যানাজা কিংবা রীতিনীতির ঐ দাপন-কাপন!


আমার কাছে আজ বিষাদ লাগে
শ্রাবণ রাতের বারিধারা, রুপালি রাতের জোছনা,
সকালে নগ্ন পায়ে শিশির ভেজা ঘাসে হাঁটা!


আমার কাছে আজ বিষাদ লাগে আষাঢ়ের বাদল
শরৎের শুভ্রতা;
শিউলির মাতাল করা তাজা ঝাঝালো ঘ্রাণ।


আমার কাছে আজ আহার'টাই তোমার দেওয়া
জীবনের শ্রেষ্ঠ নেয়ামত।