যার হাওয়ায় উড়া এলো চুলের প্রতিটি ভাঁজে ভাঁজে
খণ্ড খণ্ড মেঘ ভাসে!
শাড়ির আঁচলে দুনিয়া ঢাকে!
আমি তার নাম দিয়েছি মেঘবতী।


যার পায়ের নূপুরের ধ্বনিতত্ত্বে ভুবন কাঁপে
বরষার মাদল বাজে!
আমি তার নাম দিয়েছি বাদল রানী।


যার কপালের লাল টিপ একে দেয় রক্তিমা গোধূলি
বিষন্নতার পথে বিছিয়ে দেয় লাল গালিচার প্রীতি!
আমি তার নাম দিয়েছি লাল সিঁদুরে লক্ষী!


যার দু'চোখের পাপড়ি মেললে ঝরে সূর্যের জ্যোতি
কেটে যায় অন্ধকার রজনী!
আমি তার নাম দিয়েছি সূর্য দেবী!


যার হাসিতে মুক্তা ঝরে, মৃত গাছে ফুল ফোটে
প্রকৃতি সতেজ রূপে সাজে!
রংধনু আবির মেখে জেগে উঠে!
তরুণ এই যুবক হাজার বার প্রেমে পড়ে!
আমি তার নাম দিয়েছি সুহাসিনী!


যার নীরবতায় সৃষ্টি হয় সুদীর্ঘ ছায়াবীথী
শান্ত হয় কাল বৈশাখী!
রূপালি আলোয় জেগে ওঠে চাঁদনি!
আমি তার নাম দিয়েছি জীবন মরনের সঙ্গী!