অপ্সরী খুব বেশি মনে না পড়লে হয়তো আজ লিখতে বসতাম না।
রাতের সাথে তোমার খুব মিল, তাই মনে পড়লেই হরহামেশাই জেগে রই।
দিনের আলো বিপরীত তোমার, তাই দিনে ঘুরেফিরে ব্যস্ততা কুড়োই।
নিজের সাথে নিজে অভিনয় করি, কিন্তু পুরোপুরি অনুভূতিহীন সে চর্চা।
কারণ তোমার মত হাসতে পারে কে?
তোমার মত আবেগ দিয়ে বাসবে ভাল কে?
না পারবে কেউ তোমার মত মায়া জন্মাতে কোনদিন।
আর এটা তো নিজের সাথে নিজের স্বান্তনা বহি আর কি।
লাল টিপে তোমায় বড্ড অদ্ভুত সুন্দর লাগে,
যদিও ইচ্ছে করে সঠিক জায়গায় পরতে না।
হয়তো আমার স্পর্শ বিশ্বাস করতে বলে।
যাই হোক সে সৌভাগ্য ভুল করেও ছাড়তাম না।
অপ্সরী খুব বেশি মনে না পড়লে হয়তো আজ লিখতে বসতাম না।


মনে আছে? রোজ দুইটি  করে স্থীর চিত্র চাইতাম তোমার কাছে।
তুমি রেগে গিয়ে বলতে, এত ছবি দিয়ে কি কর তুমি?
আমার উত্তর বরাবরই,  কিছুই না।
জানি না নতুন করে তোমায় দেখার মধ্যে কি এক নেশা, বলে বুঝানো যাবে না।
অপ্সরী খুব বেশি মনে না পড়লে হয়তো আজ লিখতে বসতাম না।


আমায় যেভাবে খেয়াল রাখতে, এটা করা যাবে না, এভাবে বলা যাবে না
আরো কত মানা।
যদিও আমি একেবারেই অগোছালো না সেটাও বলতে।
এখনো কি সে খেয়াল আছে তোমার মনের দেয়ালে, কোন শিক্ষিত এক ভদ্রলোক কে নিয়ে।
থাকলে বিষন ভাগ্যবান উনি।
কারণ সেই খেয়াল হোক বা কেয়ার হোক,
সেই অনুভূতি কখনও আর পাই নি।
তাইতো রাত জাগাদের দলভুক্ত হয়ে, পূর্নিমার চাঁদ দেখতে বসে রই।
আর ভাবি,
তোমায় খুব বেশি মনে না পড়লে, আর কখনোই লিখতে আমি বসবো না।