আমি দেখেছি তুমি নামক কোন এক প্রিয়তমার মৃত্যুতে কেউ একজন অগণিত ঘুরপাক খাচ্ছে।
আমি শুনেছি ভালবাসা শূন্য, কোন ধর্ষিতা নারীর জন্য।
আর অসহ্য যন্ত্রণার, তার জীবন্ত স্বামীর জন্য।
প্রিয়জন হারানো দুর্ভিক্ষের মাঝে যে চলাচল করেছে,
তার কাছে দুনিয়ার সবচেয়ে সহজ যোগ অংকটাও বিয়োগের।
আমি তার চোখে অশ্রু দেখি নি, যা দেখেছি তা আমার কলমে ধারণ করার ক্ষমতা নেই।
কি এক বিষাদ বর্ণের চেহারা, যেন বুক ফাটা আর্তনাদের মুখোশ।
তার প্রথম স্পর্শের আগেই নিজ অর্ধাঙ্গিনীর নাম ধর্ষিতার খাতায়।
আমি শুধু অনুধাবন করেই পাগল প্রায়।
আহা এ কেমন নিয়তি।
এমন যেন শত্রুর সাথেও না হয়।
আমরা পৃথিবীর মানুষ গুলো বিবেক ছেড়ে পথ দিয়েছি জাহান্নামে।
ভুলে গেছি আমরা কোন খবরে কেমন রিএ্যাকশন  দিতে হয়।
শোকে কাতর মানুষ দেখেও আমাদের অট্টহাসি পায়।


কোন মায়ের বুক খালি হয়েছে সেটা নিয়ে ভাবনা আসছে না,
ভাবনা আসছে, কোন মায়ের পেট থেকে এমন জানোয়ার গুলোর জন্ম হয়।
যাদের যৌন খিদায় জীবন দিতে হয় কোন নারী বা শিশুকে।
প্রশ্নও থেকে যায়, তাদের পরিবারও কি তাদের হাত থেকে সুরক্ষিত?
আমরা যদি কোন সরকারি কানুনে বন্দী না হতাম,
কত নিরীহ মানুষের হাতে খুন হতো লক্ষাধিক জানোয়ার।
কত ভাই, প্রেমিক, স্বামী, বাবারা প্রতিশোধের আত্মতৃপ্তি পেতো।
ভাবতেই চোখ রঙিন হয়ে আসলো,
আবার চোখ পড়লো সেই সাথী হারা লোকটার চেহারায়,
হারিয়ে গেল আমার চোখের আত্মতৃপ্তি।