সাফল্যের খুব নিকটে গিয়েও আপনার মনে হতেই পারে, আমার দ্বারা আর কিছুই হবে না।
আবার দূর থেকে মরিচীকায় দৃষ্টিপাত  করেও আপনার মনে হতেই পারে, এইতো সাফল্য।
অথবা চোখে গোল ফ্রেমের চশমা লাগিয়ে, নিজেকে মহা পন্ডিত মনে হতেই পারে আপনার।
না হয় শত প্রতিভা বুকে লুকিয়ে, মুক্তমঞ্চের অভাবে আপনার মনে হতেই পারে, বড্ড বোকা আমি।
কারো কারো লক্ষ্য শুধুই সাফল্য,  আবার কারো স্বপ্ন।
চেষ্টা থাকলে লক্ষ্যের পথই সহজ,  কিন্তু স্বপ্ন অবাস্তব ও হতে পারে।
আপনি একি পথে বারবার ধোকা খেয়ে, মনে করতেই পারেন এই পথে সাফল্য নেই।
পথ ছেড়ে আবার নতুন পথে গন্তব্য,
দেখবেন সব কিছুই অচেনা, চিনতে সময় লাগবে।
অন্যদিকে আপনার ছেড়ে আসা সেই পথে, অন্য কেউ এসে দৌড়ে পৌঁছে গেছে গন্তব্যে।
ঐ যে আপনি ধৈর্যের পরীক্ষায় পরাজিত,
অন্য কেউ আপনার ভুল শুধরে গর্বিত।
এমনটা আমার সাথে প্রতিদিনই ঘটে,
রাস্তায় বড্ড ট্রাফিক জ্যাম দেখে নিজ সীট থেকে উঠে বাস থেকে নেমে দুই পায়ের উপর ভরসা করলাম।
এবার আমার সীটে অন্য কেউ, আর জ্যাম সেরে গেলো আমার অল্প কিছু পদার্পণ এর পর।
তখন মনে হতেই পারে, আমি থাকলেও কি এমনটা হতো?
আসলে ভাগ্য বলতে যা বুঝি, তা হয়তো সবার সঙ্গে সঙ্গ দেয় না।
তবুও আমরা কর্মকে ভাগ্যের পদতলে বারবার ফেলে দেখি এবার যদি কিছু হয়।
আর এবারও না হলে, আপনার মনে হতেই পারে,
আপনি অকর্ম কুফা।
মনে করতে ক্ষতি কি?
কিন্তু সেই অকর্ম আপনাকেই আবার উঠে হামাগুড়ি দিতে হবে সাফল্যের লক্ষ্যে।
আপনার আবার মনে হতেই পারে, এবার একটু থেমে যাই, অনেক তো হলো।
কিন্তু নাহ, জীবন নামের যে যান্ত্রিকত্রুটির ভিতর আপনার বসবাস,  সে মহাশয় কি তা মনবে?
কক্ষনই নাহ।
যাক ধরে নিলাম আপনি বহু কষ্টে সাফল্যের হাতে চুম্বন করলেন।
এবার ভাবলেন ধার্মিক হওয়া যাক,
এবার আপনার লক্ষ্য ভিন্ন,
আপনার হাত নতুন করে খালি।
আপনার মনে হতেই পারে খালি হাত পূর্ণ করে ফেলবো।
মনে করতে ক্ষতি কি।
এখানেও ভাগ্য আপনার সাথ দিল না।
আপনার সময় ফুরিয়ে গেল, রয়ে গেল আপনার সফলতা, আর চিরস্থায়ী জীবনের জন্য আপনি পরাজিত।
এভাবেই আমরা ভাগ্য এবং সফলতার কাছে অবহেলিত।