মানুষ অহংকার থেকে মুক্তি চেয়েও অহংকার এর পথে পা বাড়ায় জেনে শুনে।
নিজের অজান্তে দাম্ভিকতার জন্ম দেয় অনুতপ্ত মনে।
যে মানুষটা কষ্টের সময়, নিজের পাশে অন্যকে না পেয়ে, মনে মনে একাকিত্বের যন্ত্রণা লালন করে।
আর ভাবে মানুষ কত নিষ্ঠুর।
সেই মানুষটাই অতি সুখে নিজেকে গুটিয়ে নেয়, কষ্টে অর্পিত ডিপ্রেশনে থাকা ব্যক্তি থেকে।
এটাই তো অহংকার এর এক ধাপ।


এরপর নিজের ভুল গুলো ভুলে গিয়ে, খুঁজতে থাকে অন্যের দোষ।
যেন তিনি নির্ভুল আর আশেপাশে সবই মেনে নেয়ার মত নয়।
অথচ এই দোষ খুঁজতে চাওয়া ব্যক্তির, ভুল সময়ের বচন ছিল, "মানুষ মাত্রই ভুল"।
এটা অহংকার এর আরেক ধাপ।


আবার হঠাৎ করে নিজেকে আসমানমুখী মনে হয়।
নিচে তাকালেই সব কিছু অতি ক্ষুদ্র, তাও সব সময় নয়, ধরা পড়ে অণুবীক্ষণে মাঝে মাঝে।
যখন ধরা পড়ে, তখন কি তার সাথে কথা বলা সাঝে?
আহা কি দাম্ভিকতা।
যে ক্ষুদ্র ব্যক্তি আজ তার কাছে অতি ক্ষুদ্র, সেই ক্ষুদ্র ব্যক্তির অবস্থান থেকে উঠে এসে একজন মানুষ কিভাবে এমন ৩৬০° এঙেলে পরিবর্তন হয়ে যায়।
কিভাবে ভুলে যায় মাটির ঘ্রাণ,  অপেক্ষমাণ মৃত্যুর স্বাদ, নৈতিকতা আর বিবেকের তাড়না।
জীবনের প্রতিটি স্টেশনে এসে যে পূর্বের জংশনের কথা ভুলে যাবে, সে জন না চাইতেই হাজারবার দাম্ভিকতায় ডুবে অহংকারীর মুখোশ পরিধান করবে।