সময়টা বোধ হয় অগ্রহায়ণের কোন এক প্রভাত-
পেয়েছিলাম যেদিন এক সুস্মিতার মায়াবী হাসির আঘাত।
এমনও এক রহস্যঘেরা আঘাত,
যার অন্তরালে ছিল ঘোরলাগা অবাক মুগ্ধতা-
যেখানে কয়েক মুহুর্তের দৃষ্টিমিলন হলেই
প্রতিরজ্ঞারত মনেও দেখা দিবে বসন্তের ঘনঘটা।


তার হাসি যেন হঠাৎ রিনঝিন ছন্দে ছড়িয়ে পড়ে,
নীরব দর্শক আমি অবাক হয়ে চেয়ে রইতাম তৃষিত নয়নে।
শরতের তুলাভ সাদা মেঘরঙ জড়িয়ে সে
শব্দ বুনে যাচ্ছিল সাদা পৃষ্ঠে,
অবুঝ নির্বাক বালক আমি জনতার ভীড়েও
মুগ্ধতা সঞ্চয়ে ব্যস্ত,তাকিয়ে তার মায়াবী হাসির দৃষ্টে।


আনমনে সে যখন বসেছিল কিছুক্ষণ,
মগ্ন ছিল কোন এক ভাবনায়,বিনে হাসিতে--!
বোধ হয় পুরো পৃথিবীতে স্থিরতা বহমান ছিল,
যেমনটা চিত্রশিল্পী নিরব পটভূমি সাজায়-
রঙতুলি দিয়ে শূন্য ক্যানভাসে।


যদি বলতে হয় তার কাজলরাঙা টানা চোখের কথা-
যেন সহ্য করে যেতে হবে গহীন হৃদয়ের-
তার মায়াবী ঝলকের সৌন্দর্যতার ব্যাথা।
সেই দৃষ্টি যেন ঠোঁটের হাসির সুরে কথা বলে,
যে দৃষ্টিগগনে সোনালী ডানার চিল-
হয়ত রোজ প্রত্যহে পাখা মেলে।


তার চোখের কোনের হাসি যেন
কোন মনের প্রথম রবির আলো,
তার ওই দুচোখে হয়ত মায়ার সমুদ্দুর
কারো মনের তৃষ্ণার জল কালো।


হুম!!
দিনটা ছিল ১৪২৬ সনের ২৭ অগ্রহায়ণ,
এক কোমল গগনের কোণে লেগেছিল যেদিন
ছোট্ট এক মুগ্ধ দহন।