মন কখনও হয় অভিমানী পত্র
জমায় যেখানে অভিমানের মেঘবর্ণ,
লুকিয়ে অবশেষে বুকের খামে-
রোদেলা আলোতেও ভেতরে বৃষ্টিপূর্ণ।


মন কখনও বা এক নীলরঙা কাগজ
মেঘকালিতে লিখে যায় গহীনের গান,
গর্জনকেও সাজায় সুরেলা ধুনে-
এঁকে যায় শূন্য বুকে নীশিথের চাঁন।


মন যেন কখনও নিয়ন আলোর ল্যামপোস্ট
হয়তবা পথহীন পথিকের  প্রান্তিক আর্তনাদ,
প্রদীপ আলোর সন্ধানেও এঁকে যায় আশারেখা-
পটভূমিতে যেন থাকে মানবইতিহাসের জয়ডাক।


মন কখনও বা ধূঁ ধূঁ এক বিস্তার মাঠ
একটু খানি বৃষ্টিতৃষ্ণায় সে যেন ফেটে চৌচির,
ক্রান্তিলগ্নেও কখনও সে মুগ্ধ শুভাকাঙ্ক্ষী
যদিবা দেখা পায় মঙ্গলকামী বিধাতৃর।


মন যেন "বউ কথা কও" পাখির অপেক্ষার ডাক,
যে নিশ্চুপ ডাকে মনে জেগে যায় মায়ার বৃক্ষমূল,
খানিকবাদেই সে যেন এক রূক্ষ ভূমি-
মায়ার বাধনেও বেধে দেয় কোন্দলের শূল।


সে কখনও বিস্তার আকেশের বুকে ছোট্ট ঘুড়ি
বহমান হয়ে উড়ে বেড়ায়, যেখানেই পায় দোলা-
বাস্তবতা নামের নাটাই-সুতোয় বাধা তার প্রাণ,
হবে কি আর মুক্ত বিহনে মুক্তডানা মেলা!!?


কখনও সে বর্ষার শেষে প্রিয় কিছু রোদ্দুর-
কখনও বা টিনের চালে গড়ানো বৃষ্টিরাশি-
অনুভুতি হয়ত তার এমনও আনন্দমুখর !!
কখনও সন্ধ্যার ঝিঁঝিঁডাক, কখনও বা গোধূলির রাখালবাশি।


কখনও মন হয়ে যায় দোলায়িত ঘাসফুল
ছোট্ট পতঙ্গ যেন আশ্রয় পায় তার ডগায়,
কখনও বা সে হয় নির্মল গাছের পাতা-
সঞ্চয় করতে ভোরের স্নিগ্ধ কুয়াশাচ্ছন্নতা।


সে যেন আড়ালে লুকিয়ে থাকা ছোট্ট কুটির,
আড়ালেই যেন গুছিয়ে রাখে নির্বাক ইচ্ছেকথা,
অবেলার ঝড়ের অপেক্ষমান আশারবাণী সে-
হয়ত ঝড়াবে অঝোড়ে! ছিল যত চুপকথা।


সে যেন বিশাল ক্ষমতাধারী ছোট্ট একটি মন
ছোট ছোট স্বপ্ন সে বুনে যায় সারাক্ষণ,
উদ্ভূত ভোর আর বিদায়ী রাত্রির স্লোগানটাও এমন-
"নিজস্ব এক পৃথবী গড়া, তার ভীষণ প্রয়োজন।"