স্মৃতিগুলো যেন অসীম সীমান্তের ভাসমান মেঘ,
সময়কে গিলে যাচ্ছে অনবরত,জমাচ্ছে আবেগ।
স্মৃতি যেন উড়ন্ত ময়ূরপঙ্খীর ফেলে যাওয়া পালক,
অদৃশ্য পদচিহ্নে উড়ে যাচ্ছে ঠিক,গেথে দিচ্ছে হৃদয়ে স্মৃতির নোলক।
কখনও সে পঠিত উপন্যাসে সুপ্ত আবেগে আপ্লুত পটভূমি,
নিস্তব্ধ রাত্রিতে যার চর্চা হয় নিয়মিত,হয়ে যায় অপ্রাপ্তির গ্লানিকে মুছতে উদ্দাম রণভূমি।
কখনও সে যেন ময়ূর পালকের স্নিগ্ধ আদুলেস্পর্শ,
দৃষ্টিদ্বার বন্ধে স্মৃতিচাড়িত হত এক আদর,দূর করত যা গহীনের গুপ্ত বিমর্ষ।
সে যেন ভারী শ্রাবণের মেটো গন্ধে ভাসা পুরোনো আঘাত,
বুকে সঞ্চিত কিছু ফোটা ফোটা আবেগ,ধ্বনীবিহীন বর্ষাতে ঝড়ে পড়া ছিল যার স্বভাব।
কখনও সে পরিত্যক্ত অন্ধ কক্ষদেয়াল ফুটো থেকে ভেসে আসা সূর্যালো রশ্মি,
জীবনের মেঘ ভেদ করে এসেছিল চাতক হয়ে একবার,করেছিল দুমুঠো ভালোবাসার সৃষ্টি।
কখনও স্মৃতি যেন পৌষ প্রভাতের প্রাঙ্গনকে আচ্ছন্ন করে রাখা এক রাশ কুয়াশা,
অন্তর্বাসের শহরটাকেও আগলে রেখেছে যা,ভেতরটা যেন কখনও বাষ্পরূপী ধোয়াশা।
সে কিছুটা ছেয়েছিল রবিন্দ্রণাথের বিরহ কাব্যিকতার ভারাক্রান্ত সুরেলা গানে,
অবুঝ দিনে প্রেমালো আবেগ তুলতাম আর গেয়ে যাইতাম এক মনে।
স্মৃতি!!
সে তো রাত্রি বাড়ার সাথে পাতায় সঞ্চয় হওয়া ক্ষুদ্র শিশিরবিন্দু,
জমে আছে যা গহীন হৃদয়ের ভাজে,অনুভূতি যেন এক বিষাদসিন্ধু।
সে কখনও বা সাজে আলসে বেলার এক কাপ ক্যাফেইনের চুমুক-ধোয়াশায়,
ভাবনাবাহুর ডুবসাতার এঁকে যায় স্মৃতিগঙ্গায়,মন ভিজে যায় আনন্দ বেদনার পিপাসায়।
সে যেন একজীবনের বিক্ষিপ্ত সুখ দুখী মুহুর্তের অন্তর্বাসী কিছু কথা,
স্মৃতি যেন অন্দরমহলের পাতায় একটু একটু করে অদৃশ্য এক কাব্যগাথা।