অনলে প্রাণ দেবো
---( একটি প্রেমের কবিতা)
রমেন মজুমদার,
১৮/০১/২০২৪
------
উড়ব না কী মরব,
প্রেম প্রলোভন সত্যের প্রতারণায়
দুঃখ ক্ষয়, মন জুরে তার ব্যথা-
পাখনা পুড়ুক আলোর রেখায়
এ'জীবন দিয়ে কি করব ?


থাকব দূরে,
না কী টানবে কাছে তুমি,
অনুতাপের দুঃখগুলি জানবে না কেউ;
আমার আচরণ;-
রাখব ঢেকে তোমার আঁচলে
যদি সম্মত হও,
প্রেমের ক্রীতদাস...
বিষাদভুলে চরণ তলে খুঁজব সুখ।


কাল্পনিক এক নারী,
ভোগতৃষ্ণা,সুখ-যন্ত্রণা যায় কতদূর!
দিনে দিনে বিলীন স্রোত ভাঙ্গন নদীর!
নির্বাসনে দ্বীপান্তরের জ্বালার অগ্নিদহন!
পুড়ুক,জ্বলুক;
চরণ সেবার আমি ভিক্ষাধারী।


প্রেম পুড়ে,প্রেম মরে'না কোনদিন,
প্রিয়তমার দোষ দিব কী আজ,
প্রীতিকণা,স্মৃতিফণা দংশনে বিষ ঢালে!
রূপের পাশে মরুভূমির অনিত্য চাষ---
বেভুল সুখে চিত্ত হুতাশন
মৃত্যু দিয়ে সেদিন শুধবো ঋণ।


স্বপ্ন আসে স্বপ্ন ভাঙে
আকাশ তারায় স্বপ্ন রাঙ্গে চাঁদ জোছনা,
বাহুর বন্ধনে,
দুইয়ের প্রাণ অলখের সুখ ঠোঁট খুঁজে,
অলক বিন্যাস,কপাল রাঙা লাল!
অবশ অনুভূতি কেবল
চোখের নেশায় সুখ।


মোহের বৈঠকখানায়
কোন মানবীর তনু থমকে দাঁড়ায় সেথা
অলকদামে শোভিত সিঁদুর
লালাটরাঙা উষ্ণ মখমল
সে যেন এক চিরায়ত প্রেম,মন থেকে মনে
বিশ্ব বালাখানায় ।


কৃষকের ভাঙা ঘরে,প্রজ্জ্বলিত সুখ
আকাশের দুটি নক্ষত্র সেথায় বাস
নব বাসরের বিভায় পূর্ণ রূপ
যতদেখি ততই আমি পুড়েছি বিরহ আগুনে
তৃষ্ণার বারি অমৃত থেকে হয়েছে সে বিষ!


ওষ্ঠরাঙা পৌষালী চাঁদ পুরুষ অস্থির সে,
চওড়া হাসি ছিল একদিন যেথা,
নিখুঁত নেশায় বিভোর ছিল রাত...
মসৃণ মেদুর বুকের সমতলে সুখনন্দন
আশিক বৃক্ষফল--
কতদিন দেখিনি সৌষ্ঠভমূর্তি
জীবনের পৃষ্টা খুলে।


একদিন তার দেবার কথা ছিল,
সুদৃশ্য বক্ষ উপহার
দুর্লভ চূড়ায় সাধ্য আছে কার ওঠে ওই শিরে;
ছোঁয়া কি এতোই সহজ যে শিশুর হাতের মোয়া?
মধ্যে ব্যবধান বিচ্ছেদের নদী কতোকাল
তবুও সে আকর্ষিত এক চুম্বক
বহুগুণে নির্মাণ।


এখন সমাহিত হই স্বপ্নের সাগরে রোজ,
বিক্ষোভ ভাসমান স্রোত ভাসায় আমারে
বিবেকের দোরগোড়ায়;
তবু প্রেম খুঁজি নিশিদিন একা অন্ধ জোছনায়,
শৈবাল সাগরে চেয়েদেখি আমি
কোথাও কেউ নেই....
একটি অসুখ খুঁজে বেড়ায় সেই হারানো প্রেম
আঁখির জলে সাঁতার কেটে নিশিদিন।


বিয়োগ সেতো কেবলি বিয়োগ অনন্তকালের!
বুকভরা অনল অনুতাপে জ্বলে !
অস্থির গজানো দুটি পাখনা!!
আমি মানুষ নই, কেবলই পিপীলিকা...
তবুও প্রেম খুঁজি আগুনের কাছে
পুড়ে মরবো বলে।।
*******