‌সত্য যে কি তুমিও জান না
‌জি. রমেশচন্দ্র
‌লোকের সামনে প্রকাশিত সত্য আপনি এবং সুযোগ-সত্যের সত্য তুমি,আর এর মাঝের প্রেমের ত্রিশঙ্কু সত্য অজনা ঝড়।
‌কে জানে কখন কি হয়!
‌তোমার এই শহরময়তার শেকড়ের অতীত অতি গভীরের গ্রাম্যতায় ভরা,
‌তা মনছোঁয়া ক্ষণে বোধ হয়।
‌আপনি থেকে তুমিতে আসার মুহূর্ত-সুঁচসুখ যেন তালশাঁসের ভিতর লুকানো জলের মতো বিনির্মিত মিষ্টি,
‌ পেতে প্রণিপাত করতে হয়।
‌কখনো বা বৈশাখের দমকা হাওয়ার মতো পোড়ামনকে এক ঝটকায় শীতল করে দেয়।
‌আমি মরি মরমে - কোন সত্যের সুতোয় উড়ছি তবে,
‌শান্ত দীঘির কাজললতায়, না কয়লা খাদানের গভীর অন্ধকারময়তায়! তুমি কি জানো!


কিছু নগ্নতা থাক,বিচ্ছেদও
‌জি. রমেশচন্দ্র


কিছু নগ্নতা থাক।
অনন্ত বয়ে যাক উচ্চ থেকে নিম্ন গতি পর্যন্ত তোমার ঝিনুক বুকের ঢেউয়ের মতো।
কেননা চালউঁকি চাঁদ তোমার ঠোঁটের মতোই নগ্ন থাকে বলে মুগ্ধ হই।
ভাগ্যিস কেউ পোষাক পরায়নি,
নইলে চন্দ্রমুখী আর ঝলসানো রুটির
উপমা বৈপরীত্য কোথায় পেতাম!
কিছু নগ্নতা থাক বুঝলে, বিচ্ছেদও থাক।
ঐ সমুদ্রে ওঠা লাল সূর্যে মেঘঢাকা পোষাক পরিয়ে দেখার মজা নাই বা নিলাম।
সমুদ্র থেকে সূর্যের ছাড়াছাড়ির মুহূর্তে
যে রঙ সূর্য সমুদ্রে ঢালে,
তাতে মনে হয় কখনো
ওরা আলাদা হয়ে গেল!
এভাবে কিছু রেশ রেখে তুমিও  চলে যেও আমায় ছেড়ে নগ্ন করে,বিভাগ করে,
যদি অন্যরা মুগ্ধ হয়।  
তুমি তো জানবে,তুমি আমাকে ছাড়লেও
আমি তোমাকে ছাড়তে পারব না।
তোমার আবেশেই না হয় কাটবে
আরো শতবছর!
কি পারবে তো!
জানি পারবে তুমি,ভালোবাস যে!
সেই সাহসী বীজ পোঁতার অধিকার
তোমায় আমি নিজের হাতে দিলাম।
বুঝলে কিছু নগ্নতা থাক,
বিচ্ছেদও থাক কেমন।