চেনা-অচেনা(21-11-21)
রণজিৎ মাইতি
--------------------
মাঝে মাঝে মনে হয়...
যে পথে হাঁটছি,সেই পথ কতো দিনের চেনা;
কতো পুরণো বুড়ো শিবতলার প্রাচীন বটগাছটি,
চণ্ডীতলার মাথা ভাঙ্গা ছাতিম গাছটিকেও বড়ো চেনা,নিকটাত্মীয় মনে হয়।


কিংবা উঠোনে মা ধান শুকোতে দিলে...
বিকেলের মরা রোদে যে ঘুঘু পাখিগুলো আসতো ধান খেতে,
তাদেরও মনে হ'তো কত্তো আপন।
যেমন মনে হ'তো উঠোনে রক্তকরবীর গাছ ও ফুলের মধু খেতে আসা প্রতিটি মৌমাছি ও রঙবেরঙের প্রজাপতি গুলোকে।


কিন্তু যেই ঝরে গেলো ফুল...
তারপর থেকে আর কেউ ছায়াও মাড়ায় না আমার বক্ষ রক্তকরবীর!
কিংবা চেনা রাস্তা,সেই বট ও ছাতিম গাছটিকেও বড্ড অচেনা মনে হয় শীতের আগমনে।


মনে পড়ে এক ভদ্রলোকের মুখ,
প্রথম দেখায় যাকে মনে হয়েছিলো অত্যন্ত ভদ্র সভ্য বিনয়ী মার্জিত...
সেই তিনি ভীষণ হতাশ করলেন যখন মুখোমুখি দাঁড়ালাম!


আসলে যতোই চেনা চেনা মনে হোক,ভূভারতে কেউই চেনা নয়;
না আকাশ,না বাতাস,না জল ও আগুন
চারপাশে কেউই নয় আপনার জন;
বিনয় মুখোশমাত্র,ভেতরে ভেতরে দম্ভ পাহাড়প্রমাণ।।