চর্বি
রণজিৎ মাইতি
--------------
লাল বাড়িটা হঠাৎ একদিন নীল-সাদা হয়ে গেলো।


যারা দার্শনিক,তারা ভাবলো-
পরিবর্তনই জগতের নিয়ম।
সুতরাং এই নিয়ে কথা বলার মতো কথা তারা পেলো না।
তবে বদলে যাওয়া রঙ দেখে আনাচে কানাচে থাকা হুলো বেড়ালগুলো করলো 'ম্যাঁও'।


দর্শনিক ভাবনার নিচে যে সমস্ত মানুষ,
যারা চাকরি নামক গণ্ডুষ পান করে তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলে,
তারা ভাবলো,-
'এই বদল বাঞ্ছনীয়।'
একই রং দীর্ঘদিন শাসন করলে মেদ জমে শরীর-মনে।


অবশ্য সংখ্যা গরিষ্ঠ মানুষ-
যারা এই বদলের সওয়ারি হয়ে
পায়রা উড়িয়ে ছিলো আকাশে,
তারা মুলত চালডালকলামুলোর প্রত্যাশি।
তারা অলুক্ষুণে বেড়াল দেখলেই শুরু করলো তাড়া ।


সুতরাং লালের মতো পাকাপাকি হলো নীল-সাদা।
স্থায়িত্ব যতো দীর্ঘ হ'লো,ততোই জমতে থাকলো মেদ পরতে পরতে।


কেবল দর্শনিকরা বললেন,-
চর্বি স্বাস্থ্যের পক্ষে মহা বিপদজনক।
চর্বি বাড়াতে পারে না মনের জেল্লা।