দার্শনিক সন্ধ্যা
রণজিৎ মাইতি
-------------
বাবা বলতেন,- 'শোন খোকা,দশটা পাঁচটার চাকরিতে কক্ষণো জীবনকে চেনা যায়না;
যারা জীবনকে জানে না,তারা কখনও জীবন লিখতে পারেন না।'


খোকা বয়সে বাবার এই দার্শনিকতা আমাকে স্পর্শ করেনি।
ভাবতাম বেশ তো আছেন কাছের বাড়ির অপরেশ কাকু,
সুপ মুখে সুখে দিব্বি আছেন একচিলতে বাতানুকুল বাড়িতে
সকাল-সন্ধ্যা ফাঁকা ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে মহাসুখে টানেন ফাইভ ফাইভ ফাইভ
উইক এন্ডে বউ বাচ্চা নিয়ে বেরিয়ে যান লং ড্রাইভে
প্রতি বছর নিয়ম করে লং ভ্যকেসনে বেরিয়ে পড়েন দিল্লি হিল্লি।
কি করে বলি সেই মানুষটি অসফল,জীবন চেনেনা!


জবাব পেয়ে যাই এক দার্শনিক সন্ধ্যায়;
যে দিন অপরেশ কাকু আত্মীয় পরিজনহীন ফাঁকা ঘরে ইঁদুরের মতো দেহ রাখলেন।
অথচ পড়শি বাউল,রবি ঠাকুরের মতো-- সমরেশ শক্তি সুনীলরাও মৃত্যুতে মিশে গেলেন জনতার ভিড়ে।