দেশ বড়ো,নাকি মানুষ ? (26-08-2019)
রণজিৎ মাইতি
--------------------
প্রতিভার আলো এতোটাই তীব্র যা চোখ ধাঁধিয়ে দেয়
তিমিরভূক সূর্যের মতো পৃথিবীকে করে আলোকিত
ব্যাক্তি মানুষ পি ভি সিন্ধুও তেমনই একজন
বিশ্ব ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়ানশিপে কঠিনতম প্রতিদ্বন্দ্বী ওকুহারাকে হারিয়ে
যখন জাতীয় পতাকা নিয়ে দৌড়োচ্ছে এই তারকা খেলোয়াড়
আর সেই আলো স্টেডিয়াম উপচে---
আছড়ে আছড়ে পড়ছে পৃথিবীর কোণায় কোণায়
তখন নতুন করে কিই বা বলার থাকতে পারে ?


এটুকুই বলতেই পারি,--সাবাস সিন্ধু,সাব্বাস !
তোমার মুখই হয়ে উঠেছে আজ দেশের মুখ;
তোমার জীবনীশক্তি প্রাণসঞ্চার করছে দেশ ও দশের।
অভিনন্দনের স্রোতে ভেসে না গিয়ে বরং চোখ মুখে ফুটে উঠেছে দৃঢ়প্রত্যয়;
আপনিও জানেন পৃথিবীটা আশ্চর্য গোলাকার
তাই কোনও দৌড়ই এখানে সম্পূর্ণ হয়না
বরং ঢুকে পড়েন সাফল্য নামক গভীর গোলকধাঁধায়
বেড়ে যায় চারপাশে প্রত্যাশার পারদ চড়চড়


যদিও বিনয়ী ও গুণী মানুষেরা কখনও ভোলেননা মা তথা দেশমাতৃকার কথা
জানেন কতোটা প্রসব যন্ত্রণা সহে দেখিয়েছে পৃথিবীর আলো
স্নেহ দিয়ে,ভালোবাসা দিয়ে তিল তিল করে গড়ে তোলা
সিন্ধু এসব ভালোই জানেন;তাই মায়ের চরণকমলেই প্রথম উৎসর্গ করেন সাফল্য নামক মায়া
তখন একটা ভাবনাই ঘুরপাক খায়;কে বড়ো
দেশ তথা রাষ্ট্র,নাকি মানুষ ?


এমন প্রশ্নে মানুষই হয়ে যায় দ্বিধাবিভক্ত  
আসলে যিনি ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকেন তাঁরই গরজ
সবচেয়ে উঁচুতে থাক দেশের মুখ  
কারণ দেশ বিপন্ন হলে শাসক সঙ্কটে  
তাই বীরপূজার আয়োজনে দেশ তথা শাসকও সর্বদা উদগ্রীব


যদিও কোনও ছায়াই টলাতে পারে না এমন মানুষে
বরং নিজস্ব প্রচ্ছায়া এতোটাই সুস্পষ্ট যা কালে কালে হয়ে যায় দেশের মুখ
যেমন ভারত মাতার মুখ ভাবলেই---
ভেসে ওঠে কবিগুরু কিংবা মহাত্মার মুখের আদল
দক্ষিণ আফ্রিকা মানেই নেলসন ম্যান্ডেলা
ব্রাজিলও আসলে ফুটবল সম্রাট পেলের শিরা উপশির
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশ কোথাও যেনো একাকার


আসলে কোনও কোনও মানুষই দেশ হয়ে যান;
কোনও কোনও মানুষ ও দেশ একাকার !