গোলাপ(30-11-21)
রণজিৎ মাইতি
--------------------
আমাদের উঠোনে একটি লালগোলাপের চারা সারাবছর ফুলে ফুলে ভরে থাকতো;
আমার পরম শ্রদ্ধেয় বাবা রোজ নিয়ম করে তার পাদপদ্মে দিতেন জল।


বাবা বলতেন...
গোলাপ কখনও ভালোবাসা চায়না;
ভালোবাসা হুমড়ি খেয়ে পড়ে গোলাপের সুগন্ধে।


আশ্চর্য,জল দিতে দিতে একদিন বাবানামক মানুষটিই হয়ে উঠলেন সাক্ষাৎ গোলাপ;
বাবার স্থান নিয়েছি ভজহরি নামক আমি!


তাই গাছটি পূর্বের মতোই সবুজ ছনছনে;
দেখে মনে হয় ফুলগুলিও আপন মনে হাসছে অমরত্বের নিশ্চয়তায়।


অবশ্য কালের হাত ধরে একদিন আমিও হয়ে উঠলাম আনন্দস্বরূপ!
প্রতিটি শাখা-প্রশাখায় ফুল আর ফুল।
সুবাস ও সৌরভে ঘর,উঠোন ও আশপাশ মো মো,
পত্রে-পুষ্পে চুমু এঁকে দেয় মক্ষিকা স্বরূপ আমার প্রিয় ফুলমণি এখন;
সেও জল দেয়,সার-কীটনাশকও দেয় নিয়ম করে।


আমি স্থিরকল্প,শেকড় বিস্তার করি...
অবচেতনার গভীর থেকে গভীরতম প্রদেশে ছড়াই শাখামূল;
সময় বদলায়,কিন্তু বাবা-গোলাপের মৃত্যু হয়না কখনও
অরূপ রূপে আবহমান সুগন্ধ ছড়ায় একাকী!