নববর্ষ ও বহ্ন্যুৎসব (15-04-2019)
রণজিৎ মাইতি
--------------------
সংস্কার আজও মানুষে তাড়িয়ে বেড়ায়
নাকি সেখানেও উঁকি দেয় চোখ গেলো পাখি ?
চকোরের মতো পান করে চৈত্র শেষের ম্লান জ্যোৎস্নার আলো
এই মায়াবী ভোরে আগুনের মতো আমাদেরও ক্ষুধা শাশ্বত  
জ্বলুক আগুন চারপাশে দাউদাউ করে
এ জীবন এভাবেই কি এগিয়ে যায় মহাজীবনের পথে ?


মেয়েটিরও যতো উৎসাহ ওই আগুনে প্রতি
দোলের নাড়াপোড়া শেষে তাকিয়ে থাকে তাই পয়লা বৈশাখে
শীতের ঝরা মরা পাতা জড়ো করে ভিটেতে একটু ইন্ধন
আহা কি যে আনন্দ পায়;যেন আস্ত বাড়িটি পুড়লেই ওর আশ মেটে!
মনে হয় এই আগুন তৃষ্ণাই নতুন সকালের স্বপ্ন দেখায়  


আমি সে আগুনে সেঁকে নিই আনকোরা হাত
বিদগ্ধ আঙুলই পারে কলম ধরতে
যেমন অভিজ্ঞ চাষি ধরে লাঙলের হাল
তাই এক একটা মরা পাতা ছুঁড়ে ছুঁড়ে দিই অই দগদগে আঁচে
  
আরে এই ঝরা পাতাটাই তো নুসরতের ধর্ষক
জ্বলুক পুড়ুক  
এই তো সেই ঘুষখোর পুলিশ অফিসার
ছাই হয়ে যাক
দুর্নীতিবাজ রাজনীতিক যে পাতাটি
দগ্ধে দগ্ধে মরুক জ্বলন্ত আগুনে
শেষ শুকনো পাতাটি ছিলো আপন কলুষ
সেটুকুও বিসর্জন দিই বৈশাখী উৎসবে
পুড়ে যাক,নববর্ষের ভোরে ছাই হোক আমাদের যতো জীর্ণ সংস্কার


যদিও ইতিহাসের পাতা আজও চকচক করে ভষ্মে ঢালা ঘিয়ে !
হায় !এই বহ্ন্যুৎসবও কি দেখাবে না এক চিলতে আশার আলো?