নাব্যতা ও ঢেউ (16-07-2020)
রণজিৎ মাইতি
-------------
নদীর কাছে ইনিয়ে বিনিয়ে কতো কথা বলি;
কিন্তু সে নিরুত্তর।
শুধু নির্লিপ্ত চোখ তুলে একবার তাকিয়েই নামিয়ে নেয় তার পদ্মপলাশচোখ!


নাছোড় আমি ফুলের কাছে যাই;
নিজেকে উপস্থাপন করি পরিপাটি করে
ফুলও নির্বাক,একবারও কি দমকা হাওয়া এসে নাড়িয়ে দেবেনা!


আমি বাতাসের কানেও ফিসফিস করে বলি,
'হে পবনদেব,হে অঞ্জনারঞ্জক,আমি আধুনিক  জুলিয়েট,লায়লা হতেও পিছপা নই।
প্লিজ মুখ খোলো,তোলো চোখ,তোমার চারুআঁখি মেলাও আমার অতলে।
জলধী কতোটা গভীর হতে পারে চিনে নাও।'


তবুও হাওয়া নীরব ও উদাস
বরং অভিমুখ ঘুরিয়ে আমাকে টা টা,বাই বাই করতে করতেই আর এক ভাবসাগরের দিকে চলে যায় !


এভাবেই গাছ মাটি জল ও পাথরের কাছে গেছি,পাহাড় জঙ্গলে,
ঝরনার কলকল শব্দের সাথে উজাড় করে মিলিয়ে দিয়েছি আমার শব্দব্রহ্ম।
সবিনয়ে নিবেদনও করেছি বারবার,'হে প্রেম ফোটাও,ফোটাও তোমার সেই অমর্ত্যনন্দিত ব্রহ্মকমল'।
যদিও সবাই নীরবতাকেই করেছে শ্রেয় জ্ঞান!


এখন আমিও আর কথা বলার অবস্থায় নেই;
নগ্ন হতে হতে বুঝে গেছি,---
যে নদীর নাব্যতা বেশি সেখানেই ঢেউ ততো কম!