পারেনি গাঁথতে মালা
রণজিৎ মাইতি
--------------------
বিষিয়ে গেছে বিষবাষ্পে সবকিছু।
হাওয়া তাই আজ ভীষণ মনমরা
কবে যে আসবে আগের রোদেলা দুপুর
চুরির গল্পে পুকুর কি মাতোয়ারা ?


জানে না নুপুর সন্তরণের মানে
স্তব্ধ বিকেল থেমে আছে সবখানে
ঝরা পাতাদের শরীরে শীতের ঘ্রাণ
ফিরবে কি সুখ আগামীর রমজানে?


সেটাও কি জানে হেমন্তের পাকা ধান!
পুইবিটুলী,পালং-পিড়িং ও খেসারি ভর্তি খেত
সর্ষে ফুলের কেশরেও জুয়ো পোকা
চরম সত্যি নদী বুকে নেই রেত!


এলোমেলো হাওয়া চারপাশে ঘণ হলে
বেসামাল হয় মনবিছুটির চারা
সবুজ আগুন যায় না সবুজে মিশে
হাহাকার করে যতো সন্তান হারা


এমন সময় মধুমাস বৃথা যায়
ফাগুনে ফাগুনও শুধু করে হায় হায়
তখনই শীত দরজায় কড়া নাড়ে
তাইতো দরজা জীবনকে হাতড়ায়


যদি জীবনের চাবি প্রকৃতির হাতে হতো
বেশ ভালো হতো খুলতো প্রকৃতি তালা
অধম আগুন অহং বাঁচিয়ে রেখে
আজ মহাসংকটে,পারেনি গাঁথতে মালা।।।


(28-11-21)
কবিতাটি শ্রদ্ধেয় কবি মোঃ সানাউল্লাহ্ মহাশয়ের কবিতার মন্তব্যে লেখা। তাই কবিতাটি শ্রদ্ধেয় কবিকে উৎসর্গ করলাম