রঙ রঙ্গ
রণজিৎ মাইতি
---------------------
মানুষ একসময় ভাবলো
লাল রং বড্ড ক্যাটক্যাটে,চোখে বড়ো বাজে
থাকলে থাক একমাত্র ওই রেল সিগন্যালে,চৌমাথায়
রোজ রোজ উদয়-অস্ত একে হজম করা যায় না
সুতরাং লাল হটিয়ে আনা হোক নীল-সাদা
এছাড়া বিকল্প কোনও পথও তো খোলা ছিলো না মানুষের সামনে।
একদিন সত্যি সত্যি এসেও গেলো নীল-সাদা
মানুষের ইচ্ছার উপর ভর করে
পাহাড় থেকে সাগর
জঙ্গলমহল থেকে সুন্দরবন
সমগ্র রাঢ়ভূমিতেও ফুটে উঠলো--
নীল-সাদা কুসুম।
আবেগের আতিশয্যে কেউ বললো এটা অপরাজিতা
কেউ কেউ বললো জাপানিজ গ্লোরি
কিন্তু কুসুম নরম নীল ও খরগোশের মতো ধবধবে সাদাও একসময় হারালো আস্থা
মানুষ জেরবার হলে মনে পড়ে অতীত
বাবা-কাকার সময় থেকে
পিতামহ-প্রপিতামহ
কিংবা তারও আগে
হাঁ তারও আগে মানুষ ভালোবেসে ছিলো সবুজ
ভেবেছিলো সদ্য স্বাধীন হওয়া একটা দেশ সবুজে সবুজ হয়ে যাবে
কিন্তু সেই সবুজই ধীরে ধীরে--
ঝরা পিপল পাতার মতো হলদে হয়ে উঠলো
হয়তো আগামীতেও নীল-সাদার অসহনীয় দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ হয়ে
আমরা রঙ বদল করবো
হয়তো সেফ্রণ,মেরুন অথবা অন্য কোনো রঙ
হয়তো বলবো --হে মেরুন,এবার শস্য শ্যামলা হও।
সে সেফ্রণ,আমাকে তোমার মতো ত্যাগী,সরি যোগী করে দাও।
কিন্তু ধোঁকার জগতে
তারা আবারও হয়ে উঠবে সাবেক রঙ।
সবকিছু বুঝেও যার মোহ থেকে মানুষ কোনোদিন বেরোতে পারবে না!!