কী ঘন নীল লতাগুল্ম
রুপোর নদী আঁকাবাঁকা,
বাবু আমি আবু হোসেন
মস্ত ধনী কোঁচড় ফাঁকা ;
বাদশাহ যে আছেন, আছে
দরবারটি জমজমাট
তারাচক্র গড়িয়ে যায়
ধুলোয় ঢাকা জগৎ-মাঠ ।
যে ক’টা দিন থাকি, থাকুক
আকাশ জুড়ে ইন্দীবর
নীলকান্ত চলেন, চলি
রাহী আমি বন্দী কর ।
গড়িয়ে জল নামল, নামি
রহস্যময় রুপো ধারায়
অসামান্য এ দৃশ্যটিতে
ছায়া-পথিক ফিরে দাঁড়ায় ।
বাদশাহও মজেন, মজা
দেখতে আসেন তটরেখায় ;
হুঁ হুঁ আমি সে বান্দা কী
বাদশাহকে সাঁতার শেখাই !
সবই ওনার জানা, জানেন
এমন কী ঐ সরস্বতী
শখে শেখার শখ, শেখাই
আমার কী আর সে দুর্মতি !
যখন আমি মরছি, মরে
কাঙাল যেমন অণ্ণকূটে
জাঁহাপনাই সবার আগে
মরণ দেখতে এলেন ছুটে ;
জাঁহাপনা ছুটেন, ছুটি
আমিও মহামৃত্যু কাঁধে
বাবু আমি আবু হোসেন
ধারাজ্ঞানের অপরাধে ।