একবার গ্রীষ্মপুরুষ মাথা থেকে ঝুড়িটি নামাও,
ছায়াশ্রিত ঘটনাবিহীন দিনেরা এসো, দাও তুলে দাও
যার যা আছে খড়কুটো, ধুলো, শুকনো ফুল, মরা ডালপালা---
আর আজন্ম সঞ্চিত বারুদ, মোম, তেল, ধুনো গালা......

বালিঝড় শন শন শন শন
শ্রাবণদিনের গল্প করছে তটিনী আর কেতকীবন
শ্রোতা মৃত্যু-রঙিন আলো আর ভেঙে পড়া ছই
স্বয়ং লেখা হচ্ছে, মুছেও যাচ্ছে বই ।

চিতাবুড়ি রান্না করেনা, লোধ্রকুসুম গাছের তলায় বসে থাকে
চুলে মাখে সূর্যাশ্মতেল আর চোখে আনন্দচন্দ্রছায়াঞ্জন
শূন্যলাবণ্য অঙ্গে রম্যাগ্নীশ পুষ্প-পরিমল ; কী খায় ? পশ্চিমে যারা যায়,
তাদের ছায়া, দিনের রস-রক্ত-স্বেদ, রাতে স্মরণান্ধকার জল ।

কামারশালায় পড়ে ছিল ঠাণ্ডা লোহার লাস
হাপ রে ফুঃ  হিল্লোলিনী ষড়ঙ্গিনী বাতাস ;
অগ্নিস্পর্শে দাঁড়ায় লাস, সটান বেরিয়ে পড়ে
সমস্ত দিন পাড়ায় পাড়ায় আগুন বিক্রি করে ।