বাবু হাঁক পাড়লেন, “ওরে ভজা...ভজা... ওরে নবাব-পুত্তুর ভজা...”
গলা তুলে ভজন বলে, “বাবু...যাই...পেরায় শেষ হয়েছে খোঁজা...।“
হাসি হাসি মুখে দাঁড়াল ভজন, একেবারে বাবুর সামনে সোজা ।
“সহজে কী পাওয়া যায় বাবু, এই তো আপনার সেই মোজা ।“
“দূর হতভাগা, মোজা কে খুঁজছে ? বলছি, কোথায় গানের খাতা ?”
দৌড়ে গিয়েই ফেরে ভজন । “বাবু, এই তো কাছেই ছিল ছাতা ।“
“হাতির মাথা, ব্যাঙের ছাতা । বলি, কোথায় রাখলি আমার কলম ?”
দেরাজ খুলে দেখায় ভজন, “বাবু এই যে আপনার দাদের মলম ।“
চটেমটে বাবুর গর্জন, “ দূর হয়ে যা পাজী, নচ্ছার, ইঁদুর, হতভাগা...।“
পড়ি-কী-মরি হাতে পরে এল ভজন মা বিপত্তারিণীর তাগা ।
ফের গর্জে উঠলেন বাবু, চোখের সামনে এখনও আছিস ? দূর হ যা যা ...”
ভজন ছুটল রান্নাঘরে, “বাবু দিয়েছি তো, ভেবেছিলেন, দইয়ে দিইনি সাজা !”
বাবুর মাথায় হাত । বলেন, “বাবা, ভজন, এবার আমাকে মুক্তি দে বাছা ...”
ভজন বলে, “ কী বলছেন বাবু ! মাথা ধরেছে। আর আমি করে দেব না চা !”