আলোরা গুটিয়ে গেলে গোধূলির প্রস্ফুটিত ফুলে
বিষাদের রেনু উড়ে,বেদনার গন্ধে চারিপাশে
আধাঁরের গুঞ্জরন,হৃদয়ে নেমে আসে সন্ধ্যারা
বসে আছি- তাড়া নেই,সর্বগ্রাসী ব্রহ্মপুত্র তীরে।
খরস্রোতা নীল জলে, তবুও নদীর পাড় ভাঙ্গে
এগিয়ে যাই একটু একটু করে মৃত্যুকে পান করে
কিছু পাওয়ার নেই- কিছু চাওয়ার নেই আর
কোথাও চাঁদ নেই,কোথাও জোছনা আলো নেই
এক বুক অন্ধকারে - বসে আছি ব্রহ্মপুত্র তীরে।
দেখছি নদী ওপাড়ে কাশবনে শৈশব জোনাক
শুভ্র কাশফুল সব-রাত্রির চাঁদরে ঢাকা,শুধু
জোনাকির আলো জ্বলে মিটমিট নক্ষত্রের মতো।
সমস্ত দিনের শেষে - হিসেবের খাতা শুন্য হয়
দেবার কিছু থাকেনা,কিছু পাওয়ারও থাকে না
থাকে শুধু অপেক্ষারা-একাকিত্বের সে পথে,তাই
বসে আছি- তাড়া নেই,সর্বগ্রাসী ব্রহ্মপুত্র তীরে।


এম এ রহমান
হাতিয়া,উলিপুর,কুড়িগ্রাম