বেদনার পাত্র নিয়ে শুয়ে থাকি প্রতিরাতে-ঘুমে
কোন এক অশরীরী ফিসফাসে কথা বলে কানে
নরম বেলীর মতো সদ্য কচি পারিজাত ফুলের মতোই গন্ধ তার
না স্বপ্ন না সত্যি যেন, এক অবচেতনের বোধ জাগে
মুহূর্তেই নির্জনতা মৃত শরীরের মতো -হিম অন্ধকার এক
কৃষ্ণগহ্বরের মতো নক্ষত্রের আলো গিলে খায় যেন।।
বেদনা পাত্রে যখন কষ্টের মাছেরা শুধুই লাফায়
অবচেতনের বোধে তখন চৈতন্য ফিরে আসে।।


তখন ক্লান্ত ঘুমের শরীরটা অন্ধকারে ছুটে যায়
বাহিরে বেড়িয়ে আসি সঙ্গে আসে স্মৃতিকুমারীর ছায়া
ওহ জোছনার সেকি হাসি-গাছের পাতায় বাতাসের কথার ফুলছড়ি
মনে হয় রাগে চিৎকারে উপহাসের জবাব দেই
হেমলকের বিষের মতো বিষাদে ছেয়ে যায় মন।।


তবু একটানা সঙ্গ দেয় আমার স্মৃতিকুমারী
আমি উপরে তাকাই কোটি কোটি ঈশ্বরের চোখের দিকেই।।