একটা কবিতার জন্ম হবে বলে
কাল সারারাত প্রসব বেদনায় জর্জরিত ছিলাম আমি।
উদরের নিম্নপথে
বিশৃঙ্খল শব্দগুচ্ছের সজোরো পদাঘাত
ক্ষনে ক্ষনে দম বন্ধ হয়ে আসে।
একটা কবিতার কথা ভাবতেই
চোখের ডগায় খেলা করে
নিপীড়িত নারী আর নির্যাতিত জনতার
আত্নহননের করুন কাহিনী,
যেসব এখন কিস্সা হয়ে গেছে।
ধর্ষিত বোনের আর্তনাদ
আমার কলমকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
কবিতার কথা ভাবতেই
কানের অতি সন্নিকটে ঠাস ঠাস আওয়াজ তুলে
মিথ্যুক জনদরদীর মায়াভরা মধুর প্রলাপ।
কলমের লিপ আমার সেদিকে যেতে চায়।
ব্যাথিত করে চারপাশে ন্যায় বিচারের গনধর্ষনের
নির্লজ্জ চিত্র যখন ভাবনায় ধরা দেয়।
কবিতার কথা ভাবতেই
স্মৃতির বাতায়নে অসহ্য কড়া নারে
বিগত প্রেমিকার স্পষ্ট মুখচ্ছবি।
বাতায়নের সে অচল খিল আর
কতই বা সইতে পারে!
আমি থমকে দাড়াই।
হাজারে বাহানায় বিষাদিত করে হৃদয়
বেঈমান বন্ধুর ছলনাময় নাটকীয়তার পৌরানিক গল্প।
শব্দ বিভ্রাটে ভুগি।
অসম্ভব তন্দ্রা নেমে আসে দুচোখে
কিন্তু কিছুতেই দুচোখের পাতা এক করতে পারি না।
শব্দ সজ্জায়নের প্রতিযোগিতায়
দেহের অঙ্গ -প্রতঙ্গগুলো
গোলা বারুদের ঝাঁঝড়া গুলি নিয়ে
হরতাল-মিছিলে নামে
আমার দেহের রাজপথে।
গনআন্দোলনে অবরোধ করে আমার দেহের সমস্ত শিরাপথ।
শুধু ভুলে যাই আমি কি লিখতে বসেছি।
কলমের লিপে আটকে থাকা সুশৃঙ্খল শব্দগুলো
মনে করিয়ে দেয়
আমি মৃত্যুকে দারুন ভয় পাই।
সেই শব্দগুলো চয়নের সাহস আমার নাই।
.......................................................
রাসেল আহমেদ
২৯/০৬/১৮