চির উশৃঙ্খল আমি চির উদ্যত উন্মাদ
আমি আপন খেয়ালে ছুটে বেড়াই চূর্ণ করি যত বাঁধ।
চির যৌবন চির তারুন্যশিখা আমাতে করে ভর
আমার ত্রাসে ভুবন কাঁপে, থরো-থরো-থর-থর।
আমার চরণে চুমো খায় কতশত আইন-কানুন
আমি আগ্নেগিরির মত উত্তপ্ত, মুখে ক্ষোভপ্লাবিত আগুন।
আমি সিডর-স্যান্ডি-সুনামি-সাইক্লোন, চপলা-চিত্তে ছুটে যাই
আমি হো-হো-হা-হা হেসে বিশ্ব ধ্বংসিয়া বেড়াই।
আমি অকুল সমুদ্রের উদ্যম ধ্বনি, কলকল গেয়ে যাই
তরঙ্গে তরঙ্গে তীর ভেঙ্গে, নিজ বিশালতা বাড়াই।
আমি অমান্য করি ১৪৪ ধারা, ধুলোতে শৃঙ্খল বন্দন
তারুণ্যের দ্যুতিতে ভাস্বর আমি রক্তে দীপ্ত-যৌবন।
আমি রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই স্লোগানে রাজপথে গুলি খেয়ে ডুলি
একটি স্বাধীন মানচিত্র আঁকতে, মৃত্যুর সাথে করি কোলাকুলি।
আমি ইতিহাসের পেয়ালায় চুমুক দিয়ে মাতাল হয়ে দুলি
আমি প্রজন্ম চত্বরে লক্ষ জনতার স্পুলিঙ্গ বুলি।
আমি বিদ্রোহী কবির বিদ্রোহী কবিতা, গাঁথা দ্রোহে দ্রোহে
চরনে চরনে জ্বলে-পুড়ে লুটে পড়ি বিদ্রোহে।
আমি মুক্ত আকাশের মুক্ত বিহঙ্গ ডানা মেলে উড়ি
স্বাধীন চিত্তে ছন্দে ছন্দে যেথা মন চায় ঘুরি।
আমি বুলেট হয়ে প্রাণে প্রাণে বিঁধি, বক্ষ করি ক্ষত-বিক্ষত
যত নেতা-ক্ষেতা ভয়ে কেঁপে, মোর কাছে শির করে নত।
আমি মিছিলে-সমাবেশে নেচে-গেয়ে, আপন দাবী আদায়ে উদ্যত
মুখে স্লোগান ব্যথিত প্রান- হাত মুষ্টিবদ্ধ।
আমি প্রতিপক্ষের ষ্ট্যাম্প উপড়ে উল্লাস করি বারবার
বিধ্বংসী বেটে ছয়-চার মেরে বল করি সীমানা পার।
আমি সকল বাঁধা পিষ্টে চলি নাহি কিছু পাই ভয়
আমি শত্রুর আতঙ্ক, চির দুর্বার আমি দুর্জয়।
আমি কৃপণ ধনীর ধন কেড়ে মজলুমের মাঝে করি বণ্টন
আমি উদাসী সমীরণ, কিশোরীর কেশ পাশে উড়ি শন-শন-শন।
আমার মাঝে রাজা আমি বিশ্ব প্রজা আমার
আমি কভু কারো নাহি করি পরোয়ার ।
আমি স্পার্টাকাস, লেনিন, চেঙ্গিস, চে-গুয়েবারা
চির বিপ্লবী আমি চির বিদ্রোহী আমি সকল বাঁধনহারা।
আমি নৃশংসভাবে রণের অগ্রে একা লড়ি বারবার
একি দুর্দম-দূর্বার আমি শত্রু-শিবির করি চুরমার।
আমি লাখো বার মরি লাখো বার বাঁচি, তাই করি যখন যা চায় মনে
আমায় বাঁধিবে আমায় রুধিবে, কে আছে এই বিশ্ব-ভুবনে?
© Raselkhan