ভাদ্র মাসে গভীর রাতে
ঘুম ভেঙেছে রাত দুটোতে
ভাবছি যাব তাল কুড়াতে
পুকুর পাড়ের তালতলাতে
পশ্চিমপাড়ার ঐ পুকুরে
যায়না কেহ দিন দুপুরে
ঐ পুকুরের চারিপাশে
জ্বীন-ভূতেরা থাকে বসে
একলা যাব এত রাতে
কেউ যদি মোর থাকত সাথে
পাড়ার ছেলে হাবলু মিয়া
ভাবছি যাব সাথে নিয়া
জানালায় গিয়ে আস্তে করে
ডাকলাম হাবলুর কানটি ধরে
হাবলু উঠল ধড়ফড়িয়ে
কম্বলখানা গায়ে জড়িয়ে
বললাম, যাবি তাল কুড়াতে
পুকুর পাড়ে আমার সাথে?
বলল হাবলু ভয়ে কেঁশে
“জ্বীন-ভূতেরা ধরবে ঠেসে”
বললাম আমি দুষ্টু হেসে
“ভূতে ধরবে তোর ঘরে এসে”
একলা রাতে মাঠ পেরিয়ে
যাচ্ছি আমি বন মাড়িয়ে
একটু পরেই তালতলাতে যেই পড়েছি এসে
অন্ধকারে হঠাৎ কেহ উঠল জোরে হেসে
ভয়াল কন্ঠে বলল ডেকে
ঘাড় মটকে দেব বেকেঁ
বললাম আমি, কে রে শালা?
কাছে এসে দেখ্ কেমন জ্বালা!
কার ঘাড় কে মটকে দেবে
সামনে আসলেই প্রমাণ হবে
সাহস থাকলে সামনে দাঁড়া
কাল্লা করব তোর দেহ ছাড়া
শশ্মান ঘাটে কবর খুড়ে
পুতে ফেলব তোর দেহ মুড়ে
ধমক খেয়ে ভয়ের চোটে
কথা নেই আর ভূতের ঠোটে
গাছ তলার সব তাল কুড়িয়ে
ভূতে দিল মোর ধামা ভরিয়ে
ভূত বলে মোর ‘হুজুর” ডেকে
দেখবেন মোদের ক্ষমার চোখে
আর হবেনা এমন ভুল
ভুল করলে দেব মাশুল
ভূতের দলে কেঁপে কেঁপে
পালিয়ে গেল রাস্তা মেপে
বললাম আমি হেসে হেসে
ভূত পালাচ্ছে বিড়াল বেশে
সত্য কথা বলতে কি ভাই
মানুষের বড় আর কিছু নাই
বুকে যদি ভাই সাহস রয়
কোথাও কোন নেইরে ভয়!