উন্মত্ততার চরম বিন্দুতে পৌঁছুতে আর কত বাকি?
যতটা বাকি ছিল তার চেয়ে অনেক অনেক গুণ বেগে
- ধাবমান এনট্রপির উদ্দেশে
ক্রমবর্ধমান মানবিকতা ফিরতিপথে ছুটে চলেছে
ধ্বংসের পথে,
মন্ত্রে বাঁধা সভ্যতা ক্ষতবিক্ষত করার আনন্দে দিশেহারা
সর্বগ্রাসী ভূমিকায় সক্রিয় ,
নিষ্ঠুর ওই শেষ নিঃশ্বাসের প্রহর গোণার
ঘণ্টা কেউ খেয়াল করেনি, যেটা বেজে চলেছে
সেই কতকাল ধরে।
আসলে সয়ে গেছে সব, নিয়ম নিষ্ঠার যান্ত্রিক
জীবনের ছন্দে ঠিক মিলে গেছে,
ওত পেতে অপেক্ষা করছে সে, গুছিয়ে নিচ্ছে এই সুযোগে,
আচমকা ছোবলে এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত
জ্বলে পুড়ে নিঃশেষ করে যাবে, অথবা
নিঃশেষ হওয়ার আগেই পরশুরামের কুঠারটির
- খোঁজ পড়ে যাবে?
দুনিয়া আজ আত্মহত্যার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত,
পাপপুণ্যের বিচারকে দিয়েছে নীরব নিভৃত আশ্রয়,
রক্তস্রোতে জীবনকে আরও একবার ধুয়ে নিতে তাই মেতেছে
ঘৃণ্য পিশাচের দল,
ঘৃণা -নিন্দা- ভয় আর ষড়রিপুর ঊর্ধ্বে
পরাজয়ই আজ জয়ের সম্মানে সম্মানিত।
উল্টো চাকায় ঘুরছে জীবন, ঘুরছে সমাজ,
শুধু সহজ পথে একলা সময়...
সময় বড় নিঃসঙ্গ, তাই একলা পথ শেষ করতে চায়
যত শীঘ্র সম্ভব, সময়ের আয়ু শেষ হবেই।
সেদিন শেষ তলানির পথও ফুরাবে,
পড়ে থাকবে কাল-ধুসর ছাই অথবা একরাশ লাল ধোঁয়া,
নয়তো দুটোই?