আশাশ্রয়
রতন সেনগুপ্ত


কোথাও শব্দ ভেদ হবে নিশ্চিত
আগুন নেভান চিতা তাচ্ছিলে  ভেসে যাবে
গাঙচিল উড়ে উড়ে বলে দেবে পারের ঠিকানা
এ সবই আমাদের আত্মীয় জন,শংখচিল দিদি পণ দেবেনা আর


দখল যারই থাক, তা দখলদারি
জন্মভূমির ইজ্জত আমাদের প্রথম প্রেম
প্রতিবেশী উৎসব হবে,কে কত দিন আটকাবে


শত্রুতা এক অভিলাষী বাসনা
মাথার ভেতর খায় সবুজ দ্বীপ, জাগে সাহারা প্রান্তর
থেকে থেকে দেখায় মরিচিকা
মরুদ্যান-দখলদারি সাদা পায়রার পালক ছাড়ায়


আমাদের দীনমূর্খতা,আমাদের অধঃপতিত চেতনায় কারো কারো কাছে আশার অতীত সুখ-সাগর
বিলম্বিত সূর্যোদয় নিয়নের আলোয় ভাসায়
দেশপ্রেম পরিবেশিত হয় দামি ডিনার টেবিলে


সব খাঁড়িপথ ভাটিমুখে জোয়ার এলে ভরে যাবে
বাঁধ ভেঙে দাও, উচ্চারিত শব্দমালা কেমন থমকে আছে
দ্বারবন্ধ দরজায় তালা,বাসিন্দা ফেরেনা আর কখনও
এত আশ্রয়হীন, অসংলগ্ন ঘর বাড়ি ফাঁকা
মর্গে শুয়ে আছে কুকুরের সাথে দাবিদার


ফুটো পাত্র হাতে দিয়ে অঢেল বদান্যতা ঢলে পরে
কোন কিছুই আমাদের হাতে নেই
জানে কালো-সূতোধারি পুতুল বিক্রেতা
সব বাতিঘর বন্ধ করে বানায় প্রজন্ম,-- শুধু কারিগরি


অথচ প্রজাপতি ওড়ে, পাখি ডাকে প্রতিদিন
আসে প্রেম যে কোন বসন্তে,সুখসারি গান
সবাই কেমন খাঁচায়,ভুলে গেছি
প্রকৃতি সম্পূর্ণ আমার,আমরাই উত্তরাধিকারী
বীজ পুঁতে শষ্য আনেনা ঘরে,আগাছায় ভরে আছে মন


আপাতত এসো, উঠোনটা পরিষ্কার করি
এক সংগে মাদুর পাতি,আড্ডা দেব আজ