বিন্যাস
রতন সেনগুপ্ত
------------------
কোথাও রোদ্দুর নেই রোদ চশমায় ঢাকা চোখ
চাঙ্গা মন চৈত্রী প্রফুল্ল কানন
সূর্যবাতি জ্বেলে দিল রাত, ঝাড়বাতি কথা দিল
কথা দিল রক্তগোলাপ,
গৈরিক আসন ছেড়ে উঠে এলো কমণ্ডলু জল
ওঁ শান্তি -- জয় জিন্দাবাদ


বোধে চৈতন্য নাড়া  দেওয়া চওড়া খাতা, প্রকট সম্মান
দু'মলাটে ছেপে দিল বড় হরফে
আগামী ছবির নায়ক তুফান
গণতন্ত্র চোদ্দ পায়ে হাঁটে
গর্ব ভীষণ হয়, হাউস্ফুল হলে, জনগণ ব্ল্যাকে টিকিট  কাটে


রাস্তা ঘাট নেই হেঁটে চলে দু'চার কথা বলি
সব হাইওয়ে বাইপাস হয়ে চলে যায়
আমাদের বারমাস্য কবেকার
কালকেতু  রাজা হল বারবার
মিটল না কিছু, চিরকাল হাহাকার
ক্ষীণ আলোচনা তোলে দুলালের চায়ের দোকান


আমাদের প্রার্থনা লাল চা খেতে খেতে সারি
জ্বলে না একটাও ঝরাপাতা  -- সূর্য প্রণাম কোমর জলে  
কোমায় আছি তুলসী পাতা নিয়ে ফিরি হাসপাতালের মোড়
পিতৃশ্রাদ্ধে শেষ দায় ঘোচে
আমাদের ঘরে ঘরে বিবাহযোগ্যা বোন
ডিপোজিটে হাঁড়িঘণ্টা বাজে
কেওই বোঝে নি -- সীতা কেন গেল বনবাসে  


সব পদ চিহ্ন মুছে কচিঘাসে ছাগলের খাঁটি দুধ আসে
এখন তো একটু বেশি দাম দিতে পারেন
আড্ডাটা জমে যাবে