চক্র
রতন সেনগুপ্ত


আগাপাছতলা ভুল ছিল কখনো বলিনি
বলিনি গুল ছিল
আসলে গোলালো কপট পর্দাটা
যেটা শুধু লজ্জা-টান ছিল
অথচ নিঠুর কতটা নিপুণ, স্টেজ ছিল
আলো দিয়েছিল, সুর ও সংগীত ভরপুর


কিছুই না সমন অথবা কমন সহজপাঠ ছিল
তবু তার এত রাগ হল
পুলিশ-মিলিটারি নেমে গেল
মুচি মেথর চামার অধিকার চেয়েছিল
এরা আমাদের ভাই--একথা যে বলেছিল
তার মুর্তিটা বড় করে গড়েছিল


কি খেলার রকমসকম
কালকেতু রাজা হয়ে, হল রাম
রাজার কর্ম রাজা করে গেল, শম্বুক নিধন
রাজার কোন জাত হয় দাদা সু-উচ্চ নির্মান
নিচে পড়ে থাকে কাদামাটি আর কেঁদো-ঘোলাজল


ক্ষমতার খেলায়,খেলি তুই আমি
ক্ষমতাটা কার একবার বলি--বৈচিত্রের কি বৈভব, সু-মহান
গলায় পা দিয়ে তন্ত্র বলে,ফোঁস করবিনা শালা
ইচ্ছে হলে দেখা তোর খেলা, একবার লড়, দাঁড়া


মহান-জ্ঞান ঢেলে দেওয়া হলো কলেজ -স্কুলে
বিজ্ঞান এলো শনিমন্দির গেট খুলে
সবার ওপর মানুষ সত্য, যদি কেঁচ হও নিজ ভূমে
এ জগতে হায় সেই বেশি চায়, স্বাধীনতা খায়  ঝাড়ফুঁকে


কাঁটাতার সীমান্ত-রেখা,খালিচোখে যায় না দেখা
ম্যাজিক, ম্যাজিক, পাল্টা ম্যাজিক পালটি ঘরে
বলতে পারি সেই জানে,বলি শুধু সেই জানতে পারে
লক্ষ-কোটির মেহের আলি--এবার বাজাও করতালি
কবিতাটা বড্ডবেশী একপেশে