কাঠপাল্লার ডোর
রতন সেনগুপ্ত


এছাড়া আমার দাক্ষিণ্যের সহবাস
আগাপাছতলা সেকেলে সিঁড়িঘর
মশা আরশোলা ইঁদুর উৎপাত
রাস্তাটা সোজা পুরোন বাড়ির কাছে
উঠোন নেই বারো ঘর ঠিক আছে


রাস্তাটা আজ অভিজাত হয়ে বাঁকে
বেমানান হয়ে বাড়িটা ভগ্নস্তূপ
ভাগ্য আমার ভাগের গঙ্গা বহুকাল নিশ্চুপ


ভাঙা আশ্বিনে খুঁজি পুরোন ফ্রেমের তক্তা
বাবুরা বিসর্জন ফেলে জলে
আমার বাথরুম চটবস্তা ঝোলে
বড় সম্ভ্রমে বউ স্নান সারে রাতে
উঁকিঝঁকি কোথায় না আর চলে


হৃদয়ের কোন নাম নেই খোঁজা বিফল
অবিকল  মাথা বিলকুল যায় কেটে
কটা আর দিন শেষ বিকেলের মোড়ে


পাল্লাটা বলে দূর ব্যাটা  অক্ষম-- পৃথিবীতে সক্ষমই সুখে বাঁচে
বাকি সব বাঁচবার কাজ খোঁজে
ধর্ম এটাই, তোরও পেট-ভাতে ভোঁতা বুদ্ধিটা খাটে


ভাবি অক্ষম কাকে বলে! মাটিকাটা  থেকে চারতলা ইট তোলা,
মাগারির হাট একা ঝাঁট দেওয়া, বাবু-বাজারে সটাং দাঁড়িয়ে গেট খোলা ঘন্টার মাথা খেয়ে
গুদাম ভাঙা, তালাখোলা, শ্রমিক বস্তি কারখানা, মুঠে বড়বাজারের কুলি, ডবল ওজন মালটানা,
সারারাত যন্ত্রণা মেরুদন্ডে,
সক্ষম কাকে বলে!!


পাল্লা-বাটখারা তোর, নিত্যি ওজন তোর
আমি অক্ষম কামচোর --বলে দিলি! এ ক্ষমতার জোর,
তোর আছে, আমি নির্বোধ হাফ প্রাইমারি
টানে বাঁকানো চামচ বাবুর বাড়ি, থাক সে কথা


তোর বিসর্জনের তোরজোর, তোর বিজয়া রজনী রাতভোর
মশগুল নেশা অন্তত দেখবেনা কাল ভোর


আমার বাথরুমে কাল লেগে যাবে কাঠপাল্লার ডোর