ক্ষরণ
রতন সেনগুপ্ত
------------------
বেড়া ভেঙ্গে শুয়ে আছে গড়াচ্ছে বাগান
মাতালের বৃক্ষ-সুখ এখান ওখান
একটাও শুদ্ধ শব্দ নেই
অশ্রাব্য রাস্তাঘাট, অলিগলি বেসামাল সর্বত্র সব


ঘাড়ে করে নাচে তান্ত্রিক নভশ্চর
যেকোনো সময় তুমি ধর্ষিত হতে পারো অথবা হয়েছ কোথাও
কালান্তক পতাকার পাতা সেঁটে আছে গায়
বাগানে গোলাপ নেই, গোলাপ কোথায় ?
খালি হাতে ফিরব এবার, ফেরাব তোমায়


অবকাশহীন মাথা মাটির গন্ধ চেনে না, স্পর্শহীন নিরাকার
অনায়াসে বন্ধুকে খুন করা যায়  - স্বাভাবিক
গাড়ি ফুটপাতে তুলে পেষা যায় ডোবা চৌকাঠ - আদালত সাক্ষী বিহীন
বেলাল্লা ওম ঘর স্তরে স্তরে নিরন্তর সাজ
যা ইচ্ছা করা যায়


ডুবে যেতে পারে, পারে ডোবাতে, দুহাতে মেখেছে নীল
প্রেমিকার নগ্ন ছবি ওড়াতে লাগে কয়েক পেগ
প্রেম নিতান্ত ফসিল


নিম্ন জলে লালা ঝাড়ে, টালির শুকনো ডাল
বৈভবী-অহঙ্কার নাইট ক্লাবে জ্বালে মৃদু ছায়াপথ
ওস্তাদি সারারাত বেলাল্লা বোলো না তারে
ট্যাক্স দেয়, আছে বাড়ি গাড়ি, অঢেল সম্পদ, চামচে চামারি
ব্ল্যাকমানি একটাও নেই, সব আঁখ পেষা রস
মহাজ্ঞান ছাড়পত্র আছে সরকারি
'বোলো না পুরনো ভুতের মতো কথা, সেকেলে মান্ধাতা বৈরাগী লাশ
বিরুদ্ধতার বিরুদ্ধে মুতে দিয়ে এগোচ্ছে দেশ
দেখো চোখ খুলে দেখো সেনসেক্স'


ফুটবে না মল্লিকা গোলাপের চারা
শীতকাল যতই আসুক সুপর্ণা
মুণ্ডহীন ধড়  নাচে রাষ্ট্র-বুক জুড়ে, কে ফোটাবে ফুল
মাতালের বৃক্ষ-সুখ