শরতের নির্মল আকাশে,
বুকভরা স্নিগ্ধ বাতাসে,
ঝোপে-ঝাড়ে, আলো-আঁধারে,
অতীতকে মনে পড়ে ‘চামটা’র বিলে।
‘পাড়ুইয়ে’র পাড়ে,
আম-কাঁঠালের বনে,
সামগান শুনি যেন নিস্তব্ধ সমীরে।
নারকেল ও তালগাছ পাশাপাশি মিশে,
কানেকানে কথা বলে গভীর আবেশে।
অতীতের ছবিগুলো ভেসে ওঠে আবছা আলোকে।


‘দুই সতীনে’র তীরে,
খেজুরের গাছগুলো
মাথা উঁচু করে,
নানা ছবি এঁকে চলে জলের উপরে।
পাশে এক বটগাছ রয়েছে দাঁড়িয়ে।
কৈশোর, যৌবন আর বার্ধক্যের শেষে
আজ ও সে কথা বলে বালকের সাথে।
অসংখ্য ঝুড়ি তার,
জীর্ণ পরিধান,
অতীতের সাথীকে করে আহ্বান।
ভোলেনি কোনকিছু রয়েছে স্মরণ,
পাতা আর ফল দিয়ে করেছে বরণ।


মেঠো পথ চলে গেছে তার নীচ দিয়ে,
নানাদিকে ডালপালা, নানা গ্রামে গ্রামে।
কৃষ্ণচূড়া ঢেকে দেয় সামনের পথ,
দ্রুতবেগে ছুটে চলে অতীতের রথ।
এঁকেবেঁকে পথ চলে দূর ঐ গাঁয়ে,
যেখানে অতীত স্মৃতি রয়েছে লুকায়ে।


ভবিষ্যত ডেকে আনে নূতন জীবন,
চলেছে বর্তমান, পাশে পুরাতন।