একটি মেয়েলী হাতের পরশ
যেন কোনো এক উগান্ডা দ্বীপের কস্তুরী মৃত্তিকা
আরন্যক কস্তুরী কন্যাকে তৃতীয় বার
জিজ্ঞাসা করলো ...
নাকের নোলকে কার স্পর্শ কন্যা?
কস্তুরী কন্যা নাকের নোলক দুলিয়ে
চোখের পলক ছড়িয়ে আরো খানিকটা
আকর্ষণ আঁকড়ে
ঠোঁটের প্রসারন ঘটাতে
একটা শব্দ নেমে এলো
শব্দটা ঝরনার মতো উচ্ছল
প্রথম ভালোবাসার মতো মিষ্টি
প্রসূতির প্রসব বেদনার শেষে
আগত উদাহরনের মতো
প্রশান্তি ...
আনন্দে যুবকের প্রাণ গেল !
চোখের কোল জুড়ে নেমে এলো
দু ফোঁটা আনন্দাশ্রু
একটা কোমল হাতের ওপর নেমে এলো
আরেকটা বলিষ্ঠ হাত
উত্তরীয় বয়ে গেল অস্থির
চোখ গেল ... পাখি জানালো
দখিনার আর বেশি দেরি নেই
আরন্যক কস্তুরীর তাতে কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই
কিছুটা মুহূর্ত সরে গেলে
জিভের ডগা থেকে শপথ বাক্য নেমে এলো
তাতে কোনো বৈদিক মন্ত্র নেই
কিম্বা শপথের শেষে নেই
কবুল বলে কোনো শব্দ
অনেকটা ব্লাডব্যাঙ্কের
ষ্টোরে থাকা অপেক্ষমান
ব্লাডব্যাগের মতো
পরিচয়বিহীন ...
থাকতো যদি উগান্ডা দ্বীপের স্বপ্নিল
কাহিনীর মতো কিছুটা সময়
তোমার ভালোবাসায় ...
ডাহুক উড়ে গেলো
শীতের প্রকোপ এখনো কাপাচ্ছে শরীর
আমি এখন উত্তরের দেশে
ব্ল্যাঙ্কেট জুড়ে তোমার অপেক্ষা
তিস্তার বুকে অশান্ত নিঃশ্বাস
গরম কফির কাপ ...
সামনে অপেক্ষমান এই...ই
আমি।।