রঙমশালের আলো দেখেছি অমাবস্যায়,
শ্যমাপূজোর রাতে।
এমনটা কী ভাবা যায়, সেই দৃশ্য দেখবো
এক ভোরে পুরীর সমুদ্রসৈকতে?
তখনও সূর্য উঠতে আধাঘন্টা বাকি,
প্রভাতী হাঁটার মহড়া চলছিল
গর্জনে ভরা নিকষকালো অন্ধকার সাগরের পারে,
অনেকেই শরীরচর্চা চালানোর জন্যে,
ছমছম করা আঁধারে তেমন ভয় লাগছিলো না।


প্রায় হঠাতই বলা যায়
ভয় জাগানো ঘননীল আকাশ জুড়ে
বৃষ্টি নামলো, উল্কাবৃষ্টি...
দেহ না ভিজলেও মন ভিজে গেলো,
সব উল্কাগুলোই রঙের বৈচিত্র নিয়ে-
সাগরের বুকে আছড়ে শান্তি খুঁজছিলো!
লাল,নীল, সবুজ, হলুদে ভরা-
নয়নাভিরাম রঙিন রাত ভেদ করে,
তবুও লাল দিগন্তে বেরসিক সূর্য উঁকি দিলো...


পরে শুনেছিলাম এক‌টি ধুমকেতু
দেহ রেখেছিল,
যেদিন ওটা পড়বে বলে আশা করেছিল-
তার আগের দিনই এই ঘটনা।
স্বভাবতই তেমন কোন ভীড় ছাড়াই,
দৃশ্যটির সৌন্দর্য্যে প্রান ভরিয়েছিলাম।
বিশাল এই মহাকাশের মতিগতি বোঝা দায়,
যাকে যা দেয়, উজাড় করেই দেয়।