ছেলেবেলায় আমরা সব দেখেছি -
শুধু কালী পূজায় বাজী ফাটানো,
ছোটখাটো কিছু পটকার আওয়াজ,
সংগে ফুলঝুরি, তুবড়ি বা রংমশাল।


ওটা ছিলো শক্তির আরাধনার জন্য -
উৎসর্গিত এক বিশেষ আনন্দর দিন।
তাই এতো বাজী,এত ঘটা,এত হুল্লোড়,
তাতেও বড়দের বেশ কিছু বাধা ছিলো।


লক্ষ্মী পূজায় বাজী! সে একদম মানা।
ঠাম্মা বলতো, দেবী না কি ও শব্দতে -
আসনে বসেনই না। উঁনি নীরবতাকে
পছন্দ করেন। মেনেতো নিয়েছি তাও।


ঘরে লক্ষ্মী আসতে কী বাধা যে ছিলো
বিতর্কে যাব না। তবু এটা নিশ্চিত,
ব্যবসায়ীর ক্যাশবাক্সে লক্ষ্মী ভরপুর।
পুজাে বাড়ছে, বাড়ছে আমদানিটাও।


এখন তো মাত্রাছাড়িয়ে পুজোর বহর,
যম, শনি, মনসা সব পুজাে বারোয়ারি।
এ ছাড়াও দুর্গাদেবী, বাসন্তী, অন্নপূর্ণা -
কেউ তো পিছিয়ে নেই বারোয়ারিতে।


কার বন্দুক কতটা বেশি মানানসই -
ছোটদের তাই নিয়ে কথা কাটাকাটি।
বড়োরা ভাবে বন্দুকটা ছোটই হলো,
আগামীবার ওটা পুষিয়ে দিতেই হবে।


ছোটরা কিন্তু বন্দুক ফাটানোর সময়,
এক পৈশাচিক আনন্দে মেতে ওঠে।
তাই ওদের শৈশবের বন্দুকবাজ মন -
একদিন বড়ো হয়ে গোলাও ফাটায়।


আজ দীর্ঘশ্বাস ফেলে আর কি লাভ?
ওদের বন্দুকে অভ্যস্ত আমরা করেছি,
কখন নিজেদের মনের হিংস্রতায় ওরা-
ধীরে ধীরে দানব হয়েছে, টের পাই নি।


হয়তো সব ফালতু কথা, এর কোনো -
যৌক্তিকতাই নেই। মূল্যতো এ লেখা
পাবে না আদৌ।শুধু এই কথা ঠিক,
পাইলেও পাইতে পার অমূল্য রতন।